ইরান সরকারের পতনের দাবিতে ফ্রান্সে পিপলস মুজাহিদিনের কর্মসূচি

ইরানের ইসলামিক সরকারের পতন দাবি করে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে কর্মসূচি পালন করেছে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারার অনুসারী ইরানিরা। সংশ্লিষ্টরা ফ্রান্সে নির্বাসিত এবং পিপলস মুজাহিদিন নামের সংগঠনের সদস্য। সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্সের সাবেক একজন প্রভাবশালী সিনেটর, যিনি প্রতিবাদকারীদের নেতা হিসেবে একজন নারীকে গ্রহণ করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন, একদিন তিনি গণতান্ত্রিক ইরান সফরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন।io
পিপলস মুজাহিদিনের নেতৃত্বে আছেন মরিয়ম রাজাভি। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ রাজাভি। মাসুদ রাজাভি ইরানের ইসলামি সরকারের বিরুদ্ধে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইরাকে ঘাঁটি স্থাপন করেছিলেন। সাদ্দাম তাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক আগ্রাসনের পর থেকে তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
বর্তমানে মরিয়ম রাজাভির নেতৃত্ব পরিচালিত সংগঠনটি প্যারিসে তাদের কেন্দ্র স্থাপন করেছে। আলবেনিয়াতেও রয়েছে তাদের বেশ বড় সংখ্যক সমর্থক। জাতিসংঘের সহযোগিতায় এদেরকে ইরাক থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। তাছাড়া পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানেও তাদের সমর্থকরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সংগঠনটি ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপকে সমর্থন করে।
গত শুক্রবারের (৮ ফেব্রুয়ারি) কর্মসূচিতে তাদের দাবির সমর্থনে বক্তব্য রেখেছেন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এদের মধ্যে যেমন ফ্রান্সের সাবেক ও বর্তমানে সক্রিয় রাজনীতিবিদরা ছিলেন, তেমনি ছিলেন আলজেরিয়ার সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রী ও সিরিয়ান এক বিরোধী  নেতা। ফরাসি রাজনীতিবিদ জিন পিয়েরে মিচেল তার ভাষণে বলেছেন, তিনি মরিয়ম রাজাভির সঙ্গে একদিন গণতান্ত্রিক ইরান সফরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন।
শুক্রবারের কর্মসূচি পালনের সময় ফরাসি সরকার কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। কারণ গত বছর পিপলস মুজাহিদিনের শোভাযাত্রায় একটি গাড়ি বোমা হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের দেওয়া তথ্য পেয়ে ফরাসি সরকার হামলার আগেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সমর্থ হয়।
পরে এ পরিকল্পনার দায়ে ইরানি দূতাবাসের একজন কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন ইরানি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় ফরাসি সরকার ইরানের গোয়েন্দা সংস্থাকে দায়ি করে। ইরান সরকার এর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছিল, পিপলস মুজাহিদিন (এমইকে) নিজেরাই এ ঘটনা সাজিয়েছে ইরানকে বদনাম করার জন্য।