ফ্রান্সে করোনায় মৃত্যু ১০ হাজার ছাড়ালো

করোনাভাইরাস মহামারিতে ফ্রান্সের মৃতের সংখ্যা দশ হাজার ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটির সরকারি হাসপাতালে ৬০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ৩৪৩ জন এবং আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ দশ হাজার ৪৩ জন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

_111690169_hospital

মঙ্গলবার ফ্রান্সের মৃতের তালিকায় আরও ৮২০ জন তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এতদিন দেশটির সরকারি হাসপাতালে মারা যাওয়াদে আনুষ্ঠানিক তালিকায় মৃত দেখানো হতো। কিন্তু সরকারি হাসপাতালের বাইরে বিভিন্ন নার্সিং হোমেও অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন এবং এসব স্থানেও মৃত্যু হয়েছে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ৮২০টি মৃতের ঘটনা বিভিন্ন দিনে হয়েছে। মঙ্গলবার সেগুলো তালিকাভুক্ত করা হয়।

করোনায় মৃতের সংখ্যা দশ হাজার ছাড়ানোর দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ দেশ ফ্রান্স। সবচেয়ে বেশি মৃতের সংখ্যা ইতালিতে। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ১৭ হাজার ১২৭ জনে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্পেন, দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১৩ হাজার ৮৯৭। তৃতীয় স্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা ১২ হাজার ২১ জন।

করোনার বিস্তার ঠেকাতে ১ মার্চ থেকে ফ্রান্সে লকডাউন জারি হয়েছে। লকডাউন অমান্যকারীদের জরিমানা গুনতে হচ্ছে। মঙ্গলবার প্যারিস কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সময় সকাল দশটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে অনুশীলন নিষিদ্ধ করেছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শহরের পার্কে বিপুল সংখ্যক মানুষ চলাফেরা করার পর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্যারিসের শহরতলী সেন্ট ডেনিস পরিদর্শন করেছেন। ফ্রান্সে ভয়াবহ আক্রান্ত এলাকার মধ্যে এটি একটি। মার্চের শেষ দুটি সপ্তাহে এখানে মৃত্যুর হার ৬৩ শতাংশ বেড়েছে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৮০ হাজারের বেশি মানুষের।