অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন প্রয়োগ স্থগিত করলো নেদারল্যান্ডস

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিনের প্রয়োগ৭ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করেছে নেদারল্যান্ডস। শুক্রবার ডাচ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, তারা ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য সাময়িকভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া স্থগিত করবে। কিন্তু শনিবার বৈঠকের পর স্বাস্থ্য বিভাগ অপচয় এড়াতে সব ভ্যাকসিন প্রয়োগ স্থগিত করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এখবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ৬০ বছরের বেশি বয়সী অন্তত ৭০০ জনের অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাময়িক সময়ের জন্য তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া স্থগিত করা হয়। কারণ এই ভ্যাকসিন দেওয়া হলে পুরো ব্যাচের ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই।
মঙ্গলবার জার্মানি ৬০ বছরের কম বয়সীদের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন প্রয়োগ স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ার পর নেদারল্যান্ডস এই ঘোষণা দিলো। অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন যারা নিয়েছেন তাদের মধ্যে অল্প কয়েকজনের দেহে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা ঘটায় এ সিদ্ধান্ত নেয় জার্মান সরকার।
এর আগে শুক্রবার ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পর্যালোচনাকারী একটি ডাচ সংস্থা জানায়, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর অন্তত পাঁচ জনের দেহে কম রক্তে জমাট বেঁধেছে। যাদের রক্তে প্লাটিলেটের সংখ্যা ছিল কম। ভ্যাকসিন নেওয়ার সাত থেকে দশ দিনের ভেতরে এই রক্তে জমাট বাঁধার ঘটনা ঘটেছে। আক্রান্তদের সবাই ছিলেন নারী এবং তাদের বয়স ২৫ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে।
ভ্যাকসিন নেওয়ার ফলেই এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হুগো ডি জঙ্গে বলেছেন, পূর্বসতর্কতা হিসেবে এই সাময়িক স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
ডাচ সংস্থাটি জানায়, পাঁচ জনের রক্তে জমাট বাঁধার ঘটনাটি যখন ঘটেছে তখন দেশটিতে প্রায় ৪ লাখ মানুষকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
ইউরোপিয়ান মেডিসিন্স এজেন্সি অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নেওয়ার সঙ্গে রক্তে জমাট বাঁধার যোগসূত্র পায়নি। তারা বলেছে, ভ্যাকসিনটির ঝুঁকির চেয়ে উপকার বেশি। তাদের এমন অবস্থানের পর জার্মানিসহ ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ ১৯ মার্চ থেকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ পুনরায় শুরু করেছে।