আগস্ট নাগাদ ইউরোপে হার্ড ইমিউনিটি: বায়োএনটেক প্রধান

জার্মান ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি বায়োএনটেক এর প্রধান উঘুর সাহিন বলেছেন, আগামী চার মাসের মধ্যে ইউরোপ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করে ফেলতে পারে। এর অর্থ হলো কোনও জনগোষ্ঠীর যথেষ্ঠ পরিমাণ মানুষের শরীরে ভাইরাসটি প্রতিরোধের ক্ষমতা থাকলে এটি আর সংক্রামক হয়ে উঠতে পারবে না। উঘুর সাহিন বলছেন আগামী আগস্ট নাগাদ সেই অবস্থায় পৌঁছে যাবে ইউরোপ।

কোনও অঞ্চলের কী পরিমাণ জনগোষ্ঠী প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করলে হার্ড ইমিউনিটি অর্জিত হবে তা নিয়ে এখনও বিতর্ক চলছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ৭০ শতাংশের বেশি মানুষের প্রতিরোধক্ষমতা থাকলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা কমে আসবে।

এমন প্রেক্ষাপটে বায়োএনটেক প্রধান উঘুর সাহিন বলেন ইউরোপ জুলাইয়ের শেষ নাগাদ বা আগস্টের মধ্যে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করবে। ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় ব্যবহৃত করোনা টিকার বড় অংশই হচ্ছে ফাইজারের টিকা।

সাহিন বলেছেন টিকা গ্রহণকারী মানুষের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসছে। এই কারণে হয়তো তৃতীয় আরেকটি ডোজ নেওয়ার দরকার পড়বে। তিনি বলেন, গবেষণায় দেখা যাচ্ছে ছয় মাসের পর বায়োএনটেক টিকার কার্যকারিতা ৯৫ শতাংশ থেকে কমে ৯১ শতাংশে দাঁড়াচ্ছে। এই কারণে প্রায় একশ’ শতাংশ কার্যকারিতা পেতে তৃতীয় আরেকটি ডোজ টিকার দরকার পড়বে বলেও জানান তিনি।

বর্তমানে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দুই ডোজ করে টিকা নিতে গ্রহণ করতে হচ্ছে। অবশ্য বেশ কিছু দেশে আরও দীর্ঘ বিরতি দিয়ে টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে। সাহিন জানিয়েছেন, প্রথম ডোজ নেওয়ার নয় থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে তৃতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার দরকার পড়তে পারে। আর তারপরে প্রতি ১৮ মাস অন্তর একটি করে অতিরিক্ত ডোজ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে বলেও জানান তিনি।