কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাপন্থীদের ক্ষমা করে দেবে স্পেন

কাতালোনিয়া অঞ্চলের স্বাধীনতাকামীদের এই সপ্তাহে সাধারণ ক্ষমা করে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। মঙ্গলবার তাদের সাধারণ ক্ষমার বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হবে। এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে স্পেনে বিক্ষোভ হলেও সরকার বলছে এই পদক্ষেপ কাতালোনিয়ার উত্তেজনা প্রশমনে সহায়ক হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রায় চার বছর আগে স্বাধীনতার দাবিতে সরব হয়ে ওঠে স্পেনের আধা সায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল কাতালোনিয়া। এনিয়ে দেশটিতে তৈরি হয় বিগত ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকট। ২০১৭ সালে ব্যর্থ স্বাধীনতা ঘোষণার ঘটনায় অঞ্চলটির নয় নেতাকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে কারাদণ্ড দেয় স্পেনের আদালত। আরও তিন নেতা অসহযোগে দোষী প্রমাণিত হলেও তাদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়নি। এবারে তাদের সকলকে সাধারণ ক্ষমা করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে স্পেন সরকার।

বিরোধীদের অভিযোগ রাজনৈতিক সমর্থন পাওয়ার উদ্দেশ্যেই কাতালোনিয়ার নেতাদের ক্ষমা করে দিতে চাইছে স্পেনের সরকার। সোমবার বার্সেলোনায় এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেন, ‘আগামীকাল সংবিধানে প্রদত্ত ক্ষমার আলোকে আমি প্রস্তাব করবো যেন মন্ত্রিসভা ক্ষমা অনুমোদন করে দেন।’ তিনি বলেন, ‘চুক্তিতে পৌঁছাতে হলে কাউকে না কাউকে প্রথম পদক্ষেপ ফেলতে হয়। স্পেন সরকার এখন সেই পদক্ষেপ ফেলছে।’

তবে এই সিদ্ধান্তের ব্যাপক বিরোধী রয়েছে। দেশটির এল মুন্দো সংবাদপত্রের এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, স্পেনের ৬১ শতাংশ নাগরিক এই সাধারণ ক্ষমার বিরোধী। দেশটির সুপ্রিম কোর্টও এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে। তবে এক্ষেত্রে আদালতের সিদ্ধান্ত মানার বাধ্যবাধকতা সরকারের নেই।

কাতালোনিয়ার বিক্ষোভকারীরাও প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় ক্ষুব্ধ। তারা মনে করেন এই নেতাদের কখনওই কারাগারে পাঠানো উচিত হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন স্বাধীনতাকামী নেতা কুইয়িম তোরা। এই সিদ্ধান্তকে তিনি প্রোপাগান্ডা আখ্যা দিয়েছেন।