মাল্টার সাংবাদিক হত্যায় রাষ্ট্রই দায়ী: তদন্ত প্রতিবেদন

দুর্নীতিবিরোধী অনুসন্ধানী সাংবাদিক দেফনি কারুয়ানা গ্যালিজিয়া হত্যায় মাল্টা রাষ্ট্র দায়ী বলে এক গণ তদন্তে উঠে এসেছে। দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এই সাংবাদিকের জীবনের ঝুঁকিকে স্বীকৃতি দিতে এবং তা এড়াতে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে রাষ্ট্র।

২০১৭ সালের ১৬ অক্টোবরে মাল্টায় নিজ বাড়ির অদূরে গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত হন ৫৩ বছর বয়সী সাংবাদিক গ্যালিজিয়া। ব্লগ লিখে তিনি ‘ওয়ান ওম্যান উইকিলিকস’ খ্যাতি পেয়েছিলেন।  বলা হয়, মাল্টার সব পত্রিকা মিলিয়ে যত কপি বিক্রি হয়, তার চেয়ে বেশি মানুষ গ্যালিজিয়ার ব্লগ পড়ে থাকে। পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারি নিয়ে রিপোর্টের জন্য ইউরোপের সবচেয়ে ক্ষুদ্র দেশটির শাসক গোষ্ঠি এবং মাফিয়া চক্র, দুপক্ষেরই পথের কাটা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিন আগে পুলিশকে প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এক ঘনিষ্ঠ সহযোগীর নাম উঠে আসার পর ২০১৯ সালে পদত্যাগ করেন মাল্টার তৎকালীন প্রধামন্ত্রী জোসেফ মাস্কাট। গ্যালিজিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্বাধীন গণ তদন্তের দাবি জানানো হলে পদত্যাগের কয়েক মাস আগে তার অনুমোদন দেন মাস্কাট।

গত দুই বছরে এই তদন্ত দল কয়েক ডজন প্রত্যক্ষদর্শী, তদন্তকারী, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকের বক্তব্য শুনেছে। ৪৩৭ পাতার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাল্টা রাষ্ট্র দায়মুক্তির একটি পরিবেশ গড়ে তুলেছে। বড় বড় ব্যবসায়ী এবং সরকারের মধ্যে অপ্রত্যাশিত ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

কারুয়ানা গ্যালিজিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ফেব্রুয়ারিতে তিন ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে ১৫ বচর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া আরও বেশ কয়েক জনকে আটক করা হলেও তাদের বিচার শুরু হয়নি।