বুস্টার ডোজ নিয়ে ডব্লিউএইচও’র আহ্বান উপেক্ষা ফ্রান্স ও জার্মানির

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর আহ্বান উপেক্ষা করে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ প্রয়োগ জারি রাখবে জার্মানি ও ফ্রান্স। সেপ্টেম্বর থেকে এই দুটি দেশ বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করবে। বিশ্বের সব মানুষ টিকার আওতার আসার আগ পর্যন্ত বুস্টার ডোজ না দিতে ডব্লিউএইচও’র আহ্বান উপেক্ষা করেই এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে দেশ দুটি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

বুধবার ডব্লিউএইচও’র  প্রধান টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস বলেছেন, ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে টিকাদানের ব্যবধান ক্রমেই বাড়ছে। আর তা কমিয়ে আনতেই বুস্টার ডোজের প্রয়োগ বন্ধ রাখার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় টিকার বুস্টার ডোজ প্রয়োগের উপর জোর দিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। আর সেই সময়েই তা প্রয়োগ বন্ধ রাখার তাগিদ দিলো ডব্লিউএইচও।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানান, বয়স্ক ও ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের জন্য সেপ্টেম্বর থেকে বুস্টার ডোজ প্রয়োগের জন্য কাজ করছে ফ্রান্স।

তিনি বলেন, তৃতীয় একটি ডোজ হয়ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু তা সবার জন্য না। সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা ও বয়স্কদের জন্য।

জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশটি রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়া খুব বয়স্ক ও নার্সিং হোমের বাসিন্দাদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মে মাসে বিশ্বের ধনী দেশগুলো প্রতি ১০০ জন মানুষের জন্য প্রায় ৫০ ডোজ টিকা প্রয়োগ করেছে। এরপর এই সংখ্যা আরও বেড়েছে। কিন্তু নিম্ন আয়ের দেশগুলো সরবরাহ ঘাটতির কারণে প্রতি ১০০ জনের জন্য মাত্র ১.৫ ডোজ টিকা দিতে সক্ষম হয়েছে।