সংক্রমণ ঠেকাতে ইতালিতে ‘গ্রিন পাস’ চালু

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কয়েকটি পরিষেবা ও পাবলিক প্লেসে প্রবেশের জন্য ডিজিটাল সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে ইতালি। গ্রিন পাস নামের এই ডিজিটাল সার্টিফিকেট ধারীরা এসব নির্ধারিত স্থান ও সেবা নিতে পারবেন।

যারা অন্তত একটি ডোজ করোনার টিকা নিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন বা গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করোনার পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে তারা গ্রিন পাস পাবেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার থেকে ১২ বছরের বেশি বয়সের যে কেউ জিমন্যাসিয়াম ও রেস্তোরাঁয় তাদের গ্রিন পাস পরিদর্শন করতে হবে।

ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে এমন পাস চালু হয়েছে। মহাদেশটিতে সর্বশেষ এই পাস চালু করলো ইতালি। ফ্রান্স হেলথ পাস নামে এমন উদ্যোগ নিয়েছে। সোমবার থেকে রেস্তোরাঁ, বার, বিমান ও ট্রেনে চলাচলের জন্য এই হেলথ পাস বাধ্যতামূলক করেছে ফরাসি সরকার।

অস্ট্রিয়া, সাইপ্রাস ও ডেনমার্কও এমন উদ্যোগ নিয়েছে।

ইতালিতে ক্রেতা ও বিক্রেতারা এই আইন অমান্য করলে ১ হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানার মুখে পড়তে হবে।

জনমত জরিপে দেখা গেছে, ইতালির বেশিরভাগ মানুষ এই উদ্যোগকে সমর্থন জানাচ্ছেন। তবে দেশটির কয়েকটি অঞ্চলে এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও হয়েছে।

ইতালির ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ পূর্ণাঙ্গ ডোজ টিকা নিয়েছেন। কিন্তু ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এই সপ্তাহে ২২ হাজার নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন।

১ সেপ্টেম্বর থেকে গ্রিন পাস ইউনিভার্সিটির কর্মী ও দুর পাল্লার পরিবহনে বাধ্যতামূলক করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত হোটেল, সুপারমার্কেট ও শপিং সেন্টারে গ্রিন পাস বাধ্যতামূলক করার কোনো্ পরিকল্পনার কথা জানা যায়নি।

ইতালিতে নাইটক্লাবগুলো বন্ধ হয়েছে। যদিও দেশটির সরকারের একজন মন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, এই সপ্তাহে এগুলো খুলে দেওয়া হতে পারে।

যেসব স্থানে প্রবেশের জন্য গ্রিন পাস দেখাতে হবে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহ ও জাদুঘর। তবে রেস্তোরাঁর বাইরে খাবার খেলে গ্রিন পাস দেখানো এড়ানোর সুযোগ থাকবে।

ইতালিতে সরকার জাতীয় জরুরি অবস্থার মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে।