ক্ষোভ থামছেই না ফরাসি প্রেসিডেন্টের

অস্ট্রেলিয়া ছয় হাজার ছয়শ’ কোটি ডলারের সাবমেরিন ক্রয়চুক্তি বাতিলের পর ফ্রান্সের ক্ষোভ যে খুব দ্রুত প্রশমিত হচ্ছে না তা স্পষ্ট করেছেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রন। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিশেষ নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষরের পর ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে অস্ট্রেলিয়া।

গত বুধবার ওই চুক্তির ঘোষণা আসার পর ওয়াশিংটন ও ক্যানবেরা থেকে রাষ্ট্রদূত ফিরিয়ে নিয়েছেন ম্যাঁক্রন। ঘনিষ্ঠ মিত্রদের মধ্যে এ ধরনের প্রতীকী আচরণ বেশ বিরল। ফরাসি কর্মকর্তারা বলছেন, পর্যাপ্ত প্রতিক্রিয়া দেখাতে চাইছেন ম্যাঁক্রন। ইউরোপের নিজস্ব প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দিতে যাচ্ছেন তিনি।

ইমানুয়েল ম্যাঁক্রনের প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া আংশিকভাবে অভ্যন্তরীণ জনগণের উদ্দেশে। সাত মাস বাকি আছে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের। কয়েকটি জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয়তাবাদী মেরিন লে পেনের সঙ্গে তার পার্থক্য খুব সামান্য। ভোটারদের নিজের কঠোরতা দেখাতে চাইছেন ম্যাঁক্রোন। তবে এখনই ক্ষোভ নিয়ে কথা বলতে চাইছেন না মিত্ররা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি কয়েক দিনের মধ্যে ইমানুয়েল ম্যাঁক্রনের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক ইস্পাত কঠিন। যদিও নিজেদের সংশোধনের কোনও ইঙ্গিতই দিচ্ছেন না অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।

প্যারিসভিত্তিক গবেষক অ্যান্টোনি বন্ডেজ এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘এখন যুক্তরাষ্ট্র বার্তা পেয়ে গেছে আর প্রথম বার্তা পেয়েছে যে আমরা আমাদের স্বার্থ রক্ষা করবো।’ ওই অঞ্চলে মিত্রদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে ফ্রান্স অন্য উপায় খুঁজতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।