উত্তেজনা প্রশমনের অঙ্গীকার এরদোয়ান-পুতিনের

উত্তেজনা প্রশমন করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের অঙ্গীকার করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রবিবার এক ফোনালাপে এই অঙ্গীকার করেন তারা। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তুর্কি ড্রোন ও ন্যাটো ইস্যুতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির পর এই ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হলো। উভয় দেশের প্রেসিডেন্টের দফতরের পৃথক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

তুরস্ক ১৯৫২ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য। দেশটি ইউক্রেনকে ড্রোন সরবরাহের ঘটনা মস্কোকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। রাশিয়ার আশঙ্কা, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই এলাকায় রুশ সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সংঘাতে কিয়েভ এগুলো ব্যবহার করতে পারে।

রবিবার দুই নেতার ফোনালাপের পর ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুতিন এবং এরদোগান নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ফল নিয়ে কথা বলেছেন। দুই দেশের পারস্পরিক অংশীদারিত্ব আরও জোরদারের আকাঙ্ক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তুর্কি প্রেসিডেন্টের দফতর জানিয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুই নেতাই সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর সদিচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

গত মাসে পুতিন ইউক্রেনের রুশ সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে তুরস্কের তৈরি ড্রোন মোতায়েনের জন্য কিয়েভের সমালোচনা করেছিলেন।

আঙ্কারা বলছে, ইউক্রেনের তুর্কি ড্রোন ব্যবহারের জন্য তুরস্ককে দায়ী করার কোনও সুযোগ নেই। কেননা, কোনও দেশ যখন তুর্কি সমরাস্ত্র কিনে তখন তারাই এর প্রকৃত মালিক। তখন আর এটিতে তুরস্কের মালিকানা থাকে না।

তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু গত সপ্তাহে রাশিয়াকে এ ইস্যুতে একতরফা দাবি থেকে সরে আসার আহ্বান জানান। ইউক্রেনের বিষয়ে পশ্চিমা দুনিয়া ও ন্যাটোর সঙ্গে আরও গঠনমূলক পন্থা অবলম্বনের জন্যও মস্কোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সূত্র: ডন।