রাশিয়ার জন্য লিখিত প্রস্তাবনা তৈরি করছে ন্যাটো

ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েন নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছেই। এর মধ্যেই এই সপ্তাহের শেষের দিকে ক্রেমলিনের কাছে একটি লিখিত প্রস্তাবনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাটো। মঙ্গলবার সিএনএন-এর সঙ্গে আলাপকালে ন্যাটো মহাসচিব জিন্স স্টোলটেনবার্গ এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা রূপরেখা দেবো যে, আমরা বসতে প্রস্তুত। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, নিরস্ত্রীকরণ, সামরিক কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা, ঝুঁকি হ্রাস প্রক্রিয়া এবং ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য ন্যাটো প্রস্তুত রয়েছে। আমরা আলোচনার টেবিলে বসে রাশিয়ার উদ্বেগের কথা শুনতে প্রস্তুত রয়েছি।’

জিন্স স্টোলটেনবার্গ বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটে এখনও কূটনৈতিক উপায় রয়েছে। কিন্তু তার জন্য রাশিয়াকে উত্তেজনা প্রশমন করে, সদিচ্ছা নিয়ে ন্যাটো এবং ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনায় যুক্ত হতে হবে।

তিনি বলেন, ন্যাটো ইউক্রেনে কমব্যাট ফোর্স মোতায়েন করবে না। তবে সব মিত্রদের, বিশেষ করে পূর্ব ইউরোপের মিত্রদের রক্ষায় আমরা বদ্ধপরিকর।

ন্যাটো মহাসচিব এমন সময়ে এ মন্তব্য করলেন যার একদিন আগেই খবর এসেছে, পশ্চিমা এই সামরিক জোটের কিছু সদস্য দেশ পূর্ব ইউরোপে অতিরিক্ত জাহাজ ও যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে। অন্যদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে খোদ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়া যদি লাখখানেক সেনা নিয়ে ইউক্রেনের দিকে অগ্রসর হয় তাহলে এটি হবে ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় আক্রমণ’ এবং এটি ‘বিশ্বকে বদলে দেবে।’

এর আগে ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনাদের জড়ো হওয়ার খবর পাওয়ার পরপরই পূর্ব ইউরোপে সম্ভাব্য মোতায়েনের জন্য প্রায় সাড়ে আট হাজার মার্কিন সেনাকে সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেয় বাইডেন প্রশাসন। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাইডেনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে তিনি সরাসরি পুতিনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন কিনা? উত্তরে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ‌। আমি সেটা দেখবো।’