রুশ পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের অনুমতি দিতে পারে বেলারুশ

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার পারমাণবিক বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়ার দিনেই বেলারুশে এক গণভোটে দেশটির জনগণ পারমাণবিক নিরপেক্ষতা বর্জনের পক্ষে রায় দিয়েছেন। এর ফলে লুকাশেঙ্কো সরকার সংবিধান সংশোধন করে বেলারুশের মাটিতে রুশ পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের অনুমতি দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এখবর জানিয়েছে।

সোমবার রাশিয়ার একটি বার্তা সংস্থা জানায়, বেলারুশের নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফলাফল অনুসারে রবিবারের গণভোটে অংশ নেওয়া মানুষের ৬৫.২ শতাংশ পারমাণবিক নিরপেক্ষতা বর্জনের পক্ষে রায় দিয়েছেন। গণভোটে অংশ নিয়েছেন দেশটির ৭৮.৬৩ শতাংশ ভোটার।  

প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর কঠোর ও নিয়ন্ত্রিত শাসনের কারণে এই ফলাফলে খুব বেশি অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই।

এই রায়ের সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর প্রথমবারের মতো বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করা হবে। ইউক্রেনে সামরিক আক্রমণে পুতিনের পক্ষে লুকাশেঙ্কো অবস্থান নেওয়ায় এবং গণভোটে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের রায়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

রবিবার একটি ভোটকেন্দ্রে লুকাশেঙ্কো জানান, তিনি রাশিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্র ফিরিয়ে দিতে বলতে পারেন। বলেন, পশ্চিমারা যদি পোল্যান্ড বা লিথুয়ানিয়াতে, আমাদের সীমান্তে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করে, তাহলে আমি পুতিনকে পারমাণবিক অস্ত্র ফিরিয়ে দিতে বলব। যেগুলো কোনও শর্ত ছাড়াই হস্তান্তর করেছিলাম।

সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের রাশিয়ার কাছে সব পারমাণবিক বোমা হস্তান্তর করেছিল বেলারুশ। ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশটির সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমা দেশগুলো ইঙ্গিত দিয়েছে তারা বেলারুশের গণভোটের ফলাফলকে স্বীকৃতি বা অনুমোদন দেবে না।