রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধে প্রস্তুত জার্মানি: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল

জার্মানি এখন রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে প্রস্তুত। সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, এর ফলে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল আমদানিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর নিষেধাজ্ঞার পথ সুগম হলো। শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এ খবর জানিয়েছে।

রাশিয়ার তেল-গ্যাস আমদানিতে ইইউ’র নিষেধাজ্ঞার প্রধান বিরোধী ছিল জার্মানি। তবে দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বুধবার ইইউ সংস্থায় জার্মান প্রতিনিধিরা রাশিয়ার তেলের ওপর দেশটির আপত্তি প্রত্যাহার করেছেন। এই সময়ের মধ্যে বার্লিন বিকল্প উৎস থেকে পর্যাপ্ত তেল নিশ্চিত করতে পেরেছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে বলা হয়েছে, জার্মানির এই অবস্থান বদলের ফলে ইইউ দেশগুলো রুশ তেলের ওপর ধাপভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা আরোপে একমত হতে পারবে। কূটনীতিক ও কর্মকর্তারা বলছেন, সম্ভবত আগামী সপ্তাহে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

অবশ্য কত দ্রুত সময়ে রুশ তেল কেনা বন্ধ এবং মূল্য কমানো বা শুল্কের মতো পদক্ষেপ ব্যবহার করা হবে কিনা তা নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। তেলের মূল্য বৃদ্ধি পায় এমন কোনও পদক্ষেপ না নিতে ইউরোপীয় মিত্রদের চাপ দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।

রুশ তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিতর্কে সম্প্রতি ইইউ দেশগুলোর মধ্যে বিভাজন দেখা দেয়। জার্মানি ও কয়েকটি দেশে রাশিয়ার স্থলাভিষিক্ত করতে বিকল্প সরবরাহকারী খোঁজার মতো বাস্তব পদক্ষেপ নেয়। কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্র তেল নিষেধাজ্ঞার অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে এখনও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে হাঙ্গেরি, ইতালি, অস্ট্রিয়া ও গ্রিস।

রাশিয়ার তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে ইইউ’র ২৭টি সদস্য সরকারকে একমত হতে হবে।

এই সপ্তাহে পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়াকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। এ ঘটনায় ব্লকের পক্ষ থেকে দেশ দুটিকে সহযোগিতার নিয়ে তোড়জোড়ের মধ্যে জার্মানি নিজেদের অবস্থান বদল করলো। মস্কো দাবি করেছে, দেশ দুটি পুতিনের শর্ত অনুসারে রুবলে গ্যাসের মূল্য পরিশোধ করতে রাজি হয়নি।

ইউক্রেনে আক্রমণের পর রাশিয়ার ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমারা। এসব নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়া নিজেদের অধিকাংশ রিজার্ভের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। এমন অবস্থায় রুশ প্রেসিডেন্ট একটি ডিক্রি জারি করেছেন। এতে শর্ত রাখা হয়েছে, অবন্ধুসুলভ দেশগুলোকে রুশ তেলের মূল্য ডলার বা ইউরোতে নয়, পরিশোধ করতে হবে রাশিয়ার মুদ্রা রুবলে।