ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা জেলেনস্কির

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের সঙ্গে কথা বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ‘এডলফ হিটলারের শরীরে ইহুদি রক্ত ছিল’- রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের এমন মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের মধ্যেই পরস্পরের সঙ্গে কথা বললেন বেনেট-জেলেনস্কি। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

বুধবার রাতের ভাষণে জেলেনস্কি নিজেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার আলাপের কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলের স্বাধীনতা দিবসে অভিনন্দন জানাতে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। এ সময় মারিউপোল এবং পূর্ব ইউক্রেনের পরিস্থিতি সম্পর্কে তাকে অবহিত করা হয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নিন্দনীয় এবং একেবারে অগ্রহণযোগ্য বিবৃতি নিয়েও আলোচনা করেছি।’

এদিকে সের্গেই ল্যাভরভের মন্তব্য নিয়ে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিডের সমালোচনার জবাবে একটি বিবৃতি দিয়েছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে ল্যাপিডের মন্তব্য ইতিহাসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে উল্লেখ করা হয়।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর কিয়েভকে সমর্থন দেয় ইসরায়েল। তবে একইসঙ্গে প্রতিবেশী সিরিয়ার আসাদ সরকারের ওপর মস্কোর প্রভাবের বিষয়টি নিয়েও সচেতন তেল আবিব। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েল সচরাচর মস্কোর সরাসরি সমালোচনা এড়িয়ে চলে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর অনেক পশ্চিমা দেশ রুশ অলিগার্কদের ওপর আনুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও সে পথে হাঁটেনি ইসরায়েল। তারপরও সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দুই দেশের সম্পর্ক কিছুটা উত্তপ্ত হয়েছে। গত মাসে ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের জন্য রাশিয়াকে অভিযুক্ত করে ইসরায়েল। সেই রেশ না কাটতেই সম্প্রতি রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকার নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।

ইতালির একটি  টেলিভিশনকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভকে প্রশ্ন করা হয়, ইউক্রেনকে কেন রাশিয়া ‘নাৎসি’ হিসেবে চিত্রিত করছে- যেখানে দেশটির প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি হচ্ছেন একজন ইহুদি। জবাবে ল্যাভরভ বলেন, এতে কিছু আসে যায় না। প্রেসিডেন্ট ইহুদি হলেই যে ইউক্রেনে নাৎসিরা নেই এটা প্রমাণ হয় না। তিনি বলেন, ‘আমার ভুল হতে পারে, কিন্তু হিটলারেরও দেহেও ইহুদি রক্ত ছিল। জ্ঞানী ইহুদিরা বলেন যে সবচেয়ে কড়া অ্যান্টি-সেমিটরাও সাধারণত ইহুদি হয়ে থাকে।’ তার এ বক্তব্যে ইসরায়েলে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিড এর কড়া নিন্দা করে ল্যাভরভকে ক্ষমা চাইতে বলেন।