রুশ সেনাদের নদী পার ঠেকিয়ে দিলো ইউক্রেন

ডনবাস অঞ্চলে একটি পন্টুন সেতু ধ্বংস এবং রাশিয়ার সেনাদের একটি কলামের একাংশ ধ্বংস করার দাবি করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। রুশ সেনারা একটি নদী পার হওয়ার চেষ্টা করছিল। শুক্রবার এই দাবি জানিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ইউক্রেন। একই সঙ্গে ইউক্রেন দাবি করেছে, কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার একটি নৌযানে আগুন লেগেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর প্রতিরোধের মুখে রুশ সেনাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। কিয়েভ থেকে প্রত্যাহারের পর প্রায় একমাস আগে উত্তরপূর্ব ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করে রুশ সেনারা।

রয়টার্সের সাংবাদিক নিশ্চিত করেছেন, ইউক্রেন এখন খারকিভের পূর্বাঞ্চেলে সিভারস্কি ডনেট নদীর তীর পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকার নিয়ন্ত্রণ করছে। এই শহর রাশিয়ার অবিরাম বোমাবর্ষণের শিকার হয়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে এখানকার উল্লেখযোগ্য খবর সামনে আসেনি। তবে লড়াই অব্যাহত ছিল।

শুক্রবার দারগাছি এলাকার হাউস অব কালচারের বিধ্বস্ত ভবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকলকর্মীরা। এটি খারকিভের ১০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, ভোরের আগে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ভবনটিতে আঘাত করে। এখান থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হতো। বৃহস্পতিবার আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র ভবনটিতে আঘাত করেছিল।

ব্রিটেন জানিয়েছে, সেভেরোদনেস্ক শহরের পশ্চিমে সিভেরস্কি ডনেট নদী পার হতে রুশ সেনাদের চেষ্টা ঠেকিয়ে দিয়েছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী। ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রকাশ করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বেশ কয়েক সামরিক যানে আগুনে পুড়ে গেছে এবং নদীর একটি সেতু আংশিকভাবে নদীতে ডুবে গেছে। নদীতে পরিত্যক্ত ট্যাংক ও সামরিক যান দেখা গেছে।

রয়টার্সের পক্ষ থেকে ইউক্রেনের এই দাবির সত্যতা স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি। তাদের পক্ষ থেকে কবে ও কখন এই লড়াই হয়েছে তাও জানানো সম্ভব হয়নি।

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেভেরোদনেস্ক ও ইজিউশের আশেপাশে রাশিয়া ব্যাপক সামরিক সমাবেশ করছিল। তারা চেষ্টা করছিল স্লোবিয়ানস্ক ও ক্রামাটোর্স্ক থেকে ডনবাস পর্যন্ত দখল করতে।

ইউক্রেনে ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু করা আক্রমণকে রাশিয়া ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ হিসেবে দাবি করছে। তাদের দাবি, রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হওয়ার কারণে প্রতিবেশী ইউক্রেন নিরস্ত্রীকরণে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। ইউক্রেনসহ পশ্চিমারা বলছে, আগ্রাসী যুদ্ধের জন্য এটি মিথ্যা অজুহাত। রুশ সেনারা যুদ্ধাপরাধ ও বেসামরিকদের হত্যা করছে। তবে বেসামরিকদের নিশানা করার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মস্কো।