‘গম যুদ্ধ’ মোকাবিলায় রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক চাপ জারি রাখবে জি-৭

রাশিয়াকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন, ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখা এবং মস্কোর শুরু করা ‘গম যুদ্ধ’ মোকাবিলার ঘোষণা দিয়েছে শিল্পোন্নত সাতটি দেশের জোট জি-৭। শনিবার জোটের পক্ষ থেকে এই অঙ্গীকারের ঘোষণা দেওয়া হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

বাল্টিক সাগরের একটি রিসোর্টের বৈঠকের পর জি-৭ অন্তর্ভুক্ত দেশ ব্রিটেন, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিনিয়র কূটনীতিকরা জানান, ইউক্রেনকে সামরিক ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা যতদিন পর্যন্ত প্রয়োজন ততদিন অব্যাহত থাকবে।

তারা আরও জানিয়েছেন, মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিশ্বে খাদ্য সরবরাহ সংকটে পশ্চিমাদের দায়ী করে রাশিয়া যে অপপ্রচারে শুরু করেছে তা মোকাবিলা করা হবে। একই সঙ্গে তারা চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মস্কোকে সহযোগিতা না করতে অথবা রাশিয়ার যুদ্ধকে ন্যায্যতা না দিতে।

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বায়েরবক সাংবাদিকদের বলেন, যুদ্ধের পরিণতি কমিয়ে আনতে কি আমরা যথেষ্ট কাজ করেছি? এটি আমাদের যুদ্ধ নয়। এটি রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের যুদ্ধ কিন্তু আমাদের বৈশ্বিক দায়িত্ব রয়েছে।

পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ এই বৈঠকের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, হালকা করে বলি: নতুন সীমান্ত নিয়ে জি-৭-এর স্বীকৃতির তোয়াক্কা করে না আমাদের দেশ। গুরুত্বপূর্ণ হলো সেখানকার মানুষের প্রকৃত ইচ্ছা।  

রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক চাপ আরও বাড়ানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো রুশ তেলে নিষেধাজ্ঞা বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশের রুশ তেল কেনা বন্ধ করা। এই বিষয়ে ব্লকটি একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে হাঙ্গেরি।

জি-৭ দেশগুলোর মন্ত্রীরা জানিয়েছে, রুশ অভিজাতদের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।  

এই বৈঠকে ইউক্রেন ও মলদোভার পররাষ্ট্রমন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন। মলদোভা খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং দেশটি আশঙ্কা করছে, প্রতিবেশী ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ তাদের দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।