গ্রিসে কোনও প্রধানমন্ত্রী নেই: এরদোয়ান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছেন, তিনি এখন আর প্রতিবেশী দেশ গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীকে স্বীকৃতি দেন না। গ্রিক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠকে বসতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সফরে গ্রিক প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস চেষ্টা করেছেন মার্কিন নির্মিত এফ-১৬ যুদ্ধবিমান তুরস্কের কাছে বিক্রি করা ঠেকাতে।

মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এরদোয়ান বলেন, আমার খাতায় এখন আর মিতসোটাকিস নামে কেউ নেই।

গ্রিস জানিয়েছে, তারা পাল্টা বিবৃতি দিয়ে এতে জড়াবে না।

পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোর সম্প্রসারণ আটকে দিতে তুরস্কের হুমকি দেওয়ার পর গ্রিসের সঙ্গে এই নতুন বিরোধ দেখা দিলো দেশটির। আঙ্কারা অভিযোগ করছে, ফিনল্যান্ড ও সুইডেন তুরস্কে নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দি মিলিশিয়াদের আশ্রয় দিচ্ছে। এদেরকে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করে তুরস্ক।

ন্যাটো মিত্র গ্রিসের বিরুদ্ধেও এরদোয়ান অভিযোগ তুলেছেন সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়ার। তিনি বলেছেন, ১৯৮০-র দশকে জোটে গ্রিসকে যোগদানের অনুমতি দেওয়া ছিল তুরস্কের জন্য একটি ভুল।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরে মার্কিন কংগ্রেসের কাছে মিতসোটাকিস আহ্বান জানান, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ক্রয় কর্মসূচির সদস্য না করতে তুরস্কের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি আছে তা প্রত্যাহার না করার জন্য। এরপর থেকেই তুরস্কের সঙ্গে গ্রিসের নতুন বিরোধ দেখা দেয়।

বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। ২০১৯ সালে তুরস্ক রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার পর যুক্তরাষ্ট্র এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

এরদোয়ান বলছেন, গ্রিসের পক্ষ থেকে মার্কিন কর্মকর্তাদের কাছে তুরস্কের বিরুদ্ধে লবিং করার ফলে আঙ্কারা ও অ্যাথেন্সের মধ্যে বিরোধে তৃতীয় পক্ষকে যুক্ত না করার চুক্তি লঙ্ঘন হয়েছে।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দেন, এই বছরের শেষ দিকে গ্রিক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল হয়েছে। তিনি অঙ্গীকার করেছেন, গ্রিক নেতার আরও কখনও বৈঠকে সম্মত হবেন না।

গ্রিস ও তুরস্ক ন্যাটো মিত্র হলেও দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনাকর সম্পর্ক বিরাজ করছে। প্রায়ই দেশ দুটির বিরোধ প্রকাশ্যে আসে।