'৫০ বছর পুরনো' ট্যাংক ইউক্রেন পাঠাচ্ছে রাশিয়া

ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে রাশিয়া প্রতিনিয়তই বাজে পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে। তিন মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে প্রচুর ভারী সামরিক যান হারিয়ে চাপে পড়েছে রুশ বাহিনী। এ নিয়ে একাধিক পশ্চিমা প্রতিরক্ষা প্রধান দাবি করছেন, ইউক্রেনে রাশিয়া প্রায় ১ হাজারের মতো অত্যাধুনিক ভারী সামরিক যান হারিয়ে ৫০ বছরের পুরনো ‘টি-৬২’ ট্যাংক পাঠাচ্ছে মস্কো। আর এসব ট্যাংককে অনেকটাই অচল বলছেন তারা।

টি-৬২ ট্যাংক ‘ডিপ স্টোরেজ’ থেকে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চালে মোতায়েন করা হচ্ছে। যে এলাকাগুলো নিজেদের দখলে নিতে মরিয়া রাশিয়া। কিন্তু এসব বয়স্ক ট্যাংক, ট্যাংকবিধ্বংসী অস্ত্রের কাছে অনেকটাই দুর্বল।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়ার হাতে পর্যাপ্ত আধুনিক যান ও সরঞ্জাম প্রস্তুত না থাকায় বাধ্য হয়েই পুরনো ট্যাংক মোতায়েন করছে। তবে যাই হোক না কেন, পুতিনের বাহিনী ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাসের কিছু ভূখণ্ড ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। 

ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সবশেষ গোয়েন্দা খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়া স্থল বাহিনী সেভেরোডোনেটস্ক ও লিসচানস্ককে ঘিরে ফেলার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, সম্প্রতি পোপাসনার উত্তর-পশ্চিমে বেশ কয়েকটি গ্রামও দখল নিয়েছে।

রাশিয়া সেভোরোডানেটস্কের প্রবেশদ্বারে চাপ অব্যাহত রেখেছে। যদিও নিজের অঞ্চলের একাধিক সংরক্ষিত সেক্টরের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে ইউক্রেনও। আর রাশিয়া ডনবাস পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে তা-ও অস্বীকার করেছে কিয়েভ।

টি-৬২ ট্যাংক।

রাশিয়া সম্প্রতি ৫০ বছরের পুরনো টি-৬২ ট্যাংক পাঠাচ্ছে রাশিয়ান সাউদার্ন অব ফোর্সেস (এসজিএফ) এর কাছে। এসব ট্যাংক দীর্ঘদিন ধরেই পরে ছিল। ওয়াশিটংনের এক জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা বলেন, ইউক্রেনের সামরিক অভিযান শুরুর পর প্রেসিডেন্ট পুতিন এ পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ট্যাংক, ৩৫০টির বেশি আর্টিলারির অংশ, ৩০টির বেশি ফাইটার বোমারু বিমান এবং ৫০টির বেশি হেলিকপ্টার হারিয়েছেন।

তবে রুশ সেনাবাহিনীর কাছে এখনও প্রচুর সংখ্যক সেনা এবং সরঞ্জাম রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়। ভারী কামান বোমা হামলার পরে ধীরে ধীরে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য নতুন করে কিছু ট্যাংক মোতায়েন করা হচ্ছে।

কিন্তু ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী নতুন নতুন পশ্চিমা ভারী অস্ত্র ও ট্যাংক পাচ্ছে। জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশেই ব্যাপকভাবে সামরিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে জেলেনস্কির সরকারকে। সামনে আরও অস্ত্র সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে এসব দেশ। ফলে ইউক্রেনের ডনবাসসহ অন্যান্য যেসব জায়গা নিয়ন্ত্রণে হামলা জোরালো করেছে রুশ বাহিনী, তাতে বড় একটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা।

সূত্র: ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড।