শীর্ষ রুশ স্নাইপারকে হত্যা করেছে ইউক্রেনীয় সেনারা?

রাশিয়ার একজন শীর্ষ স্নাইপারকে হত্যা করেছে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী। রুশ সরকারপন্থী একটি সূত্র এমন দাবি করেছে। টেলিগ্রাম ও ফেসবুকের রুশ বিকল্প ভিকে-তে কয়েকটি চ্যানেলে ২৪ মে আলেক্সান্ডার কিসলিনস্কি নিহত হওয়ার কথা ছড়িয়ে পড়েছে। মার্কিন সাময়িকী নিউজউইক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

রাশিয়ার জিআরইউ-এর ২২তম স্পেৎসনাজ ব্রিগেডের স্নাইপার আলেক্সান্ডার কিসলিনস্কি। তাকে ইউক্রেনে মোতায়েন করা হয়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে।

সোশাল মিডিয়ায় রুশপন্থী অ্যাকাউন্টগুলোতে ইউক্রেনে নিহত স্নাইপারকে ‘নায়ক’ ও ‘একজন যোদ্ধা’ হিসেবে ‘চিরস্মরণীয়’ হওয়ার দাবিদার বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। ভিকে-তে তার শেষকৃত্যের একটি ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে। যাতে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে মরদেহ রাশিয়ায় নিয়ে আসা হয়েছে।

ভিকে-তে স্পেশাল ইউনিটস অব রাশিয়া (এসপিআর) নিশ্চিত করেছে, নিজের ছোট্ট শহরে কিসলিনস্কিতে সমাহিত করা হয়েছে।

 

এসপিআর-এর দাবি অনুসারে, দনেস্কতে লড়াইয়ের সময় নিহত হন এই স্নাইপার। শুধু নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি নিহত হননি, তিনি নিহত হয়েছেন রুশ জনগণ ও রুশ ভূখণ্ড রক্ষা করতে গিয়ে।

অ্যাকাউন্টটির শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কিসলিনস্কি যুদ্ধের সমর্থক হয়ে ওঠা ‘জেড’ চিহ্ন যুক্ত একটি রুশ ট্যাংকের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি বলছেন, আমার দাদা নাৎসিদের শেষ করতে পারেননি, কিন্তু আমরা পারবো। পুরো সময় ধরে তারা জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল, কিন্তু এখন তারা বাইরে এসেছে এবং আমরা তাদের ফেরত পাঠাবো। আমাদের আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের সবাইকে নিশ্চিহ্ন করবো।

কিসলিনস্কি দাবি করেছেন, তার চার জন দাদা ছিলেন, যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে লড়াই করেছেন। এদের দুজন যুদ্ধে মারা গেছেন।

ভিডিওতে তিনি আরও বলেছেন, তাই তাদের নিশ্চিহ্ন করতে হবে। এই বয়স্কদের দেখুন, তারা তাদের নাৎসি পোশাক পরে হাঁটছে, মনে করছে আমরা তাদের দেখতে পাবো না। কিন্তু আমরা তাদের খুঁজে বের করবো।

অ্যাকাউন্টটিতে দাবি করা হয়েছে, ইউক্রেনের যুদ্ধে এই স্নাইপার খুব কার্যকর লড়াইয়ের ইউনিটে পরিণত হন। শত্রুদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছেন।

২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। দেশটির দাবি, তারা ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে। তাদের অভিযানের লক্ষ্য, ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত করা। তবে ইউক্রেন ও পশ্চিমারা এই অভিযোগকে আক্রমণের মিথ্যা অজুহাত হিসেবে বলছে। চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও বেসামরিক হত্যার অভিযোগ এনেছে পশ্চিমারা। রাশিয়া এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।