ইউক্রেনীয় ফটোগ্রাফারকে হত্যা করেছে রুশ সেনারা: আরএসএফ

ইউক্রেনীয় ফটোগ্রাফার মাকসিম লেভিনকে ‘ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করা হয়’ বলে জানিয়েছে সাংবাদিক সুরক্ষায় কাজ করা জোট রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ)। বুধবার ১৬ পাতার এক প্রতিবেদনে জোটটি জানিয়েছে, গত ১৩ মার্চ একই সময়ে কিয়েভের উত্তরে রুশ সেনারা লেভিনের বন্ধু ওলেকসাই চেরনিসোভকেও হত্যা করে।

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় কাজ করা জোটটি তাদের ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনের সূচনায় বলেছে, ‘রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রমাণ ব্যাপক’।

প্রতিবেদনের সিদ্ধান্ত স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।

১৯৮১ সালে জন্ম নেওয়া মাকসিম লেভিন ছিলেন একজন ডকুমেন্টারি ফিল্ম নির্মাতা। ২০১৩ সাল থেকে তিনি ইউক্রেনে রয়টার্সের হয়ে মাঝে মাঝে খবর সংগ্রহের কাজ করতেন। ১৩ মার্চ তিনি নিখোঁজ হন। আরএসএফ বলছে, ওই দিনই তাকে খুন করা হয়।

রয়টার্সের ভিজ্যুয়াল বিষয়ক গ্লোবাল ম্যানেজিং এডিটর জন পলম্যান এপ্রিলে লেভিন সম্পর্কে বলেন, ‘তার মৃত্যু সাংবাদিকতার জগতে অপূরণীয় ক্ষতি। এই দুঃসময়ে আমাদের ভাবনা তার পরিবারের সঙ্গে রয়েছে’।

আরএসএফ জানিয়েছে, তারা ঘটনাস্থলের প্রমাণ পরীক্ষা করেছে। এগুলো মধ্যে রয়েছে বুলেট এবং লেভিনের পোড়া গাড়ি, সেই সঙ্গে গত ১ এপ্রিল যখন লেভিন এবং চেরনিশভের মৃতদেহ পাওয়া যায় তখনকার তোলা ছবিও রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চেরনিসোভের মরদেহের অবস্থান এবং অন্য প্রমাণে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে তাদের জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয় আর সম্ভবত লেভিনকে খুব কাছ থেকে এক বা দুইটি গুলি চালিয়ে খুন করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার মরদেহে তিনটি গুলির দাগ স্পষ্ট।

গত ২৪ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত প্রমাণ যোগাড় করে আরএসএফ।

ইউক্রেনের প্রসিকিউটররা বলছেন, রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ছোট অস্ত্রের দুই গুলিতে লেভিন নিহত হয়েছেন।  তবে এই তথ্যও স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

সূত্র: রয়টার্স