ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি ভূমিকার অভিযোগ রাশিয়ার

ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুক্ত হয়ে পড়ছে বলে প্রথমবারের মতো অভিযোগ তুলেছে রাশিয়া। মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অভিযোগ করেছেন, কিয়েভের বাহিনীর ব্যবহার করা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি হিমার্স ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যবস্তু অনুমোদন করছে ওয়াশিংটন।

রুশ মুখপাত্র লে. জেনারেল ইগোর কোনাশেনকোভ দাবি করেন, ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে যোগাযোগের বার্তা আটকে দিয়ে এই সংযোগের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে মস্কোর এই দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া এই অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি মার্কিন কর্মকর্তারা। রাশিয়া আগেও অভিযোগ করেছে ইউক্রেনে ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে ওয়াশিংটন।

রুশ মুখপাত্র কোনাশেনকোভ বলেন, ‘ডনবাস এবং অন্যান্য অঞ্চলের আবাসিক এলাকা এবং বেসামরিক অবকাঠামোগুলোতে কিয়েভের অনুমোদিত সব রকেট হামলার জন্য সরাসরি বাইডেন প্রশাসন দায়ী, এসব হামলা বেসামরিক মানুষের ব্যাপক মৃত্যুর কারণ’।

হিমার্স একটি মাল্টিপল রকেট সিস্টেম। এটি ৭০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানতে পারে। যা ইউক্রেনের কাছে থাকা আগের রকেট সিস্টেমের চেয়ে অনেক বেশি আধুনিক। ধারণা করা হয়, এগুলো রাশিয়ান সমতুল্য ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনায় আরও বেশি নির্ভুল।

এপ্রিলে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, ইউক্রেনে শত শত কোটি ডলারের অস্ত্র পাঠাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সিদ্ধান্তের অর্থ, ‘ন্যাটো, মূলত, একটি প্রক্সির মাধ্যমে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে লিপ্ত এবং সেই প্রক্সিকে অস্ত্র দিচ্ছে’। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের অর্থ যুদ্ধই’।

ইউক্রেন সংঘাতের পুরো সময় জুড়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বহু যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ উঠেছে। গত সপ্তাহে ইউক্রেন অভিযোগ করে নির্যাতনের অভিযোগ লুকিয়ে ফেলতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত ডনেস্কের এক কারাগারে বোমা হামলা চালিয়েছে মস্কো।

সূত্র: বিবিসি