ভালো খবর হচ্ছে, ক্রেমলিন আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছাতে চায়: সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর

ইউক্রেনীয় খাদ্যশস্য রফতানিতে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যকার চুক্তি একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির দিকে অগ্রসর হতে পারে। বুধবার এমন মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বন্ধু এবং সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর গেরহার্ড শ্রোয়েডার। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

কৃষ্ণ সাগর হয়ে ইউক্রেনের খাদ্যসামগ্রী রফতানিতে গত ২২ জুলাই ওই চুক্তিতে উপনীত হয় রাশিয়া ও ইউক্রেন। জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর অংশ হিসেবে গত ১ আগস্ট সিয়েরা লিওনের পতাকাবাহী পণ্যবাহী জাহাজ ‘রজোনি’ লেবাননের উদ্দেশে ওডেসা বন্দর ছেড়ে যায। পরদিন ২৬ হাজার টন ভুট্টা বহনকারী জাহাজটি তুরস্কের উপকূলে নিরাপদে নোঙর করে। সেখানে পরিদর্শন শেষে এটি ফের গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা রয়েছে।

এই চুক্তির বিষয়টি উল্লেখ করে গেরহার্ড শ্রোয়েডার বলেন, ‘ভালো খবর হচ্ছে, ক্রেমলিন আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানে পৌঁছাতে চায়।’

গত সপ্তাহেই মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন প্রবীণ এই রাজনীতিক। বুধবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, প্রথম সাফল্য হলো খাদ্যশস্য চুক্তি। এটি ধীরে ধীরে যুদ্ধবিরতির দিকে যেতে পারে।

১৯৯৮ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জার্মান চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করেছেন গেরহার্ড শ্রোয়েডার। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের সমালোচনা করলেও পুতিনের নিন্দা জানাতে রাজি নন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে কথিত বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এই অভিযানকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে পুতিন ও তার ঘনিষ্ঠজনদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো।

গত ১৪ জুন প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ স্বীকার করেছেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ধকল কাটানো সহজ নয়। তিনি বলেন, পশ্চিমাদের যেসব পদক্ষেপ রাশিয়ার অর্থনীতিকে বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে সেগুলো ছিল কঠিন। তবে তাদের এসব পদক্ষেপ মস্কোকে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ দেশগুলোর দিকে আরও ঠেলে দিচ্ছে।