রুশ অধিকৃত এলাকায় জোরালো হচ্ছে ইউক্রেনীয়দের প্রতিরোধ

দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চলে রাশিয়ার জন্য চ্যালেঞ্জ বাড়ছেই। ক্রমেই জোরালো হচ্ছে ইউক্রেনীয়দের প্রতিরোধ। কিয়েভের অনুগত গেরিলা বাহিনী মস্কোপন্থি কর্মকর্তাদের হত্যা করছে। সেতু ও ট্রেন উড়িয়ে দিচ্ছে। মূল টার্গেট চিহ্নিত করতে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে সাহায্য করছে তারা। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যম অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।

ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ এই অঞ্চলগুলোতে ক্রেমলিন নিয়ন্ত্রণকে দুর্বল করে দিয়েছে। দখলদারিত্বকে বৈধতা দিতে মস্কোর তরফে বিভিন্ন শহরে গণভোট আয়োজনের পরিকল্পনাও হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে।

দক্ষিণ খেরসন অঞ্চলের গেরিলা আন্দোলনের সমন্বয়কারী ৩২ বছরের আন্দ্রি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো রুশ দখলদারদের জীবনকে অসহনীয় করে তোলা। তাদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিতে যেকোনও উপায় ব্যবহার করা।

ঝোভতি স্ট্রিচকা বা হলুদ ফিতা নামে পরিচিত একটি প্রতিরোধ গোষ্ঠীর একজন সদস্য আন্দ্রি। রুশরা যেন তাকে ট্র্যাক করতে না পারে সেজন্য নিজের পুরো পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

গ্রুপটি ইউক্রেনের দুটি জাতীয় রঙের একটি থেকে এর নাম নিয়েছে। এর সদস্যরা গেরিলা আক্রমণের সম্ভাব্য লক্ষ্যগুলো চিহ্নিত করতে সেই রঙের ফিতা ব্যবহার করে থাকে।

সম্প্রতি রুশ বাহিনীর প্রধান সরবরাহ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে মার্কিন সমরাস্ত্র ব্যবহার করে খেরসনের নিপার নদীর ওপর একটি কৌশলগত সেতুতে আঘাত হানে ইউক্রেনীয় সেনারা।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রুশ দখলদারিত্ব থেকে ক্রিমিয়াকে মুক্ত করে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চান তিনি। মঙ্গলবার ক্রিমিয়ায় রুশ সামরিক ঘাঁটিতে বিস্ফোরণে একজন নিহতের পর এমন মন্তব্য করেন তিনি।

ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ক্রিমিয়া দিয়ে। আর ক্রিমিয়ার স্বাধীনতার মধ্য দিয়েই এই যুদ্ধের অবসান ঘটবে। তিনি বলেন, এই অঞ্চলটি ইউক্রেনের ভূখণ্ড। কিয়েভ কখনও এই অঞ্চলের ওপর তার অধিকার ছেড়ে দেবে না। তবে নিজের বক্তব্যে অবশ্য বিস্ফোরণের বিষয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি জেলেনস্কি।