‘ক্রিমিয়ার সেতু বিস্ফোরণ রাশিয়ার জন্য বড় ধাক্কা’

শনিবার ভোরে হঠাৎ বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে রাশিয়ার সঙ্গে ক্রিমিয়ার একমাত্র সংযোগস্থল সেতুটি। ১৯ কিলোমিটার সেতুর একটি অংশে বিস্ফোরণকে নাশকতা উল্লেখ করে ইউক্রেনকে দায়ী করছে মস্কো। জরুরিভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন পুতিন। ক্রিমিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সেতুটিতে মারাত্মক বিস্ফোরণে রাশিয়ার জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখছেন গ্রিনউইচ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিটাইম সিকিউরিটির অধ্যাপক ক্রিস বেল্লামি।

২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে জোরপূর্বক ক্রিমিয়া ভূখণ্ড দখল করে নেয় মস্কো। সেই থেকে দখলকৃত ক্রিমিয়ায় পুতিনের শাসন ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এর মধ্যে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আবারও হামলা শুরু করে রাশিয়া, যা এখনও চলমান। সম্প্রতি যুদ্ধের ময়দানে কিয়েভের যোদ্ধাদের পাল্টা আক্রমণে বিপর্যস্ত রুশ বাহিনী। ডনেস্ক, খেরসন, খারকিভের অনেক গ্রাম পুনরুদ্ধার করছে জেলেনস্কির বাহিনী। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি একাধিকবার ঘোষণা দিয়েছেন যে অন্যান্য হারানো ভূখণ্ডের পাশাপাশি যে করেই হোক ক্রিমিয়া পুনরুদ্ধার করবে কিয়েভ।

এ পরিস্থিতিতেই ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়াকে সংযুক্তকারী ইউরোপের বৃহত্তম রেল ও সড়ক সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের খবর পেলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। খবরটি শোনা মাত্রই তদন্তে সরকারি কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ওই কমিশনে ক্রিমিয়ার প্রধান, ন্যাশনাল গার্ড, ফেডারেল সিকিউরি সার্ভিস এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা থাকছেন বলে তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।

এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে অধ্যাপক ক্রিস বেল্লামি বলেন, কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে এটি অবিশ্বাস্যভাবে একটি বড় ধাক্কা।

তিনি আরও বলেন, ‘সেতুটিতে দিয়ে ক্রিমিয়ায় রাশিয়ান সেনাবাহিনীর জন্য রসদ সরবরাহের গুরুতূপূর্ণ পথ। তবে সেতুটি শুধু রুশ সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যদের দিয়ে নয়, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ব্যক্তিগত গার্ড দিয়েও ব্যাপকভাবে সুরক্ষিত ছিল। এটি অবিশ্বাস্যভাবে সফল হামলা।.. ধরে নিচ্ছি এটি ইউক্রেনের দ্বারা হয়েছে’।

যদিও এ ঘটনার পেছনে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা নিশ্চিত করেনি ইউক্রেন। তবে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মিখাইলো পোডোলিয়াক টুইট বার্তায় বলেন, ‘ক্রিমিয়া সেতু দিয়ে, শুরু। অবৈধ সবকিছু ধ্বংস করতে হবে, চুরি যাওয়া সবকিছু ইউক্রেনকে ফেরত দিতে হবে, রাশিয়ার দখলে থাকা সব কিছু থেকে তাদের বহিষ্কার করা হবে।’

সূত্র: আল জাজিরা