খেরসনের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে প্রস্তুত কিয়েভ

ইউক্রেনের খেরসন এবং আশপাশের এলাকা থেকে যেসব বাসিন্দা ছেড়ে যেতে চায় তাদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে জেলেনস্কির সরকার। শনিবার এমন ঘোষণা দিয়েছেন ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক। তিনি বলেন, দখলদার রুশ বাহিনী হামলা চালিয়ে সেখানকার বেসামরিক লোকদের যে ক্ষয়ক্ষতি করেছে তা বিবেচনা করে তাদের সরিয়ে নেওয়া হবে।

এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় খেরসনের একটি তেলের ডিপোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা দাবি করেন, এক সপ্তাহেরও আগে রুশ বাহিনী প্রত্যাহারের পর প্রথমবার খেরসন শহরের জ্বালানি স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। এ নিয়ে মস্কোর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক শনিবার (১৯ নভেম্বর) মাইকোলাইভে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অনেক লোক খেরসন এবং মাইকোলাইভের আশেপাশের এলাকা থেকে উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরে সরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। এটি আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সম্ভব। খেরসন থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এ বলেন তিনি।

তিনি আরও জানান, সরকার ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছে। যারা চলে যেতে চায় তাদের বেশিরভাগই রুশ বাহিনীর দ্বারা কোনও না কোনভাবে হামলার শিকার হয়েছে। শুধু স্বেচ্ছায় যারা যেতে চাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। জোর করে কাউকে সরানো হবে না। রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শীতে তারা সেখানে থাকবে।

সম্প্রতি ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন প্রদেশের ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীর খেরসন শহর থেকে পিছু হটে রাশিয়া। রুশ সেনাদের পশ্চিম তীর থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। সেপ্টেম্বরে যে চারটি ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে ঘোষণা করে খেরসন সেগুলোর একটি। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার দখল করা একমাত্র প্রাদেশিক রাজধানী ও বৃহত্তম ভূখণ্ড হলো খেরসন। খেরসন প্রদেশের প্রাদেশিক রাজধানী হলো খেরসন শহর। ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীরে খেরসন শহরের অবস্থান।

সূত্র: আল জাজিরা