ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে কঠিন শর্ত জার্মানির

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন থামার কোনও লক্ষণ নেই। রুশ বাহিনী ইউক্রেনের লবণখনি সমৃদ্ধ কৌশলগত সলেদার শহরে হামলা জোরদারে কিয়েভে পশ্চিমা মিত্রদের সহায়তা আরও জরুরি হয়ে উঠেছে। এমন বাস্তবতায় শর্তজুড়ে জার্মান সরকার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ট্যাংক পাঠালেই রুশ আগ্রাসন দমনে ইউক্রেনে অত্যাধুনিক লেপার্ড ট্যাংক পাঠাবে বার্লিন। রবিবার (১৮ জানুয়ারি) জার্মান সরকারি সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

রুশ আগ্রাসন প্রতিহতে ইউক্রেনকে ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জো বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনে স্ট্রাইকার সাঁজোয়া যান পাঠানোর অনুমোদন দেওয়ার কথা ভাবলেও ‘এম-ওয়ান’ আব্রাহামসহ নিজস্ব ট্যাংক পাঠাতে প্রস্তুত নয়।

এই পরিস্থিতিতে আগামী শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) কিয়েভে আরও অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে জার্মানির মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। সেখানে ট্যাংক ইস্যুতে বার্লিনের দিকে চোখ থাকবে অন্য দেশগুলোর। মিত্রদেশগুলো মনে করছে, জার্মানির তৈরি লেপার্ড ট্যাংক চলমান পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী।

উল্লেখ্য, জার্মান প্রস্তুতকৃত লেপার্ড ট্যাংকগুলো ইউরোপের বিভিন্ন স্থানে ন্যাটো বাহিনী ব্যবহার করে থাকে এবং ইউক্রেনে এই ট্যাংক সরবরাহের যেকোনও সিদ্ধন্তে ভেটো দিতে পারে বার্লিন। এদিকে জার্মানির অনুমোদন পেলে ট্যাংক পাঠাবে বলে জানিয়েছে পোল্যান্ড এবং ফিনল্যান্ডও। এখন পর্যন্ত প্রথম পশ্চিমা দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বার্লিনের সরকারি সূত্র জানিয়েছে, জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎজ রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বারবার কিয়েভে মার্কিন ট্যাংক পাঠানোর শর্তে জোর দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্তোরিয়াসের সঙ্গে বৈঠক বসার কথা রয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের।