ফ্রান্সে জেলেনস্কি, যে প্রতিশ্রুতি দিলেন ম্যাক্রোঁ ও শলৎজ

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের ভূখণ্ডে চলা যুদ্ধে কিয়েভকে সহায়তায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ফ্রান্স। দেশটিতে সফররত ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে এ কথা শোনালেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

যুক্তরাজ্যে সফর শেষে (৮ ফেব্রুয়ারি) বুধবার ফ্রান্সের উদ্দেশে বিমানে উড়াল দেন জেলেনস্কি। প্যারিসের ওরলি বিমানবন্দরে অবরতণের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরাসি সরকার। তাকে অভ্যর্থনা জানান দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকুর্নো। এরপরই সাক্ষাতের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় শঁজ এলিজে। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও জার্মানির চ্যান্সেলর ওলফ শলৎজ।

যুদ্ধ শুরুর পর একসঙ্গে তিন নেতার প্রথম সাক্ষাৎ। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ম্যাক্রোঁ বলেন, 'আমরা ইউক্রেনের পাশে আছি, দেশটির বিজয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এই যুদ্ধে জয়ের জন্য ফ্রান্স এবং তার মিত্রদের ওপর নির্ভর করতে পারে ইউক্রেন। রাশিয়া এই যুদ্ধে বিজয় লাভ করতে পারবে না।'

কিয়েভকে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। সম্প্রতি ইউক্রেনকে দূরপাল্লার অস্ত্র ও ট্যাংক সহায়তার ঘোষণা দেয় জার্মানি। এসব ট্যাংক দ্রুত ইউক্রেনে সরবরাহের আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কিকে আশ্বস্ত করে জার্মান চ্যান্সেলর শলৎজ বলেন, ‘যতদিন প্রয়োজন ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিয়ে যাবে জার্মানি। এই যুদ্ধে মস্কোর বিজয়ী হওয়া উচিত নয়।’

যুক্তরাজ্য সফরে গিয়ে যুদ্ধবিমান চেয়েছেন ভলোদিমির জেলেনস্কি। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে তিনি যুদ্ধবিমানকে ‘মুক্তির ডানা’ হিসেবে তুলে ধরেছেন। পরে ডাউনিং স্ট্রিট জানায়, প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন ইউক্রেনকে দেওয়া যেতে পারে এমন সম্ভাব্য যুদ্ধবিমান খুঁজে বের করতে।

এর প্রতিক্রিয়ায় রুশ দূতাবাস এক বিবৃতিতে সতর্ক করেছে, ‘ব্রিটেনের অবন্ধুসুলভ আচরণের জবাব  কীভাবে দিতে হয় তা জানা আছে রাশিয়ার।