মলদোভার ‘সরকার উৎখাতে পুতিনের ষড়যন্ত্র’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মলদোভায় অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র করছেন বলে যে খবর পাওয়া গেছে, তা গভীর উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি। সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান কিরবি।

একদিন আগে মলডোভার প্রেসিডেন্ট মাইয়া সান্ডু জানিয়েছিলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন তার সরকার উৎখাতের ছক কষছে।    

সান্ডুর ভাষ্য, মলদোভার নেতৃত্বকে ধ্বংস করতে এবং তার জাতিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদান থেকে বিরত রাখতে বিদেশি নাশকতাকারী ব্যবহারের পরিকল্পনা করছেন পুতিন। শুধু তা-ই নয়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেস্কির অন্যতম এই মিত্রের অভিযোগ, কিয়েভের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পুতিন মলডোভাকে চাইছেন।  

কিরবি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র অভ্যুত্থানের খবরগুলো যাচাই করেনি। তবে আমি বিশ্বাস করি, পুতিন এমনকাজ করতেই পারেন। আমরা মলদোভা সরকার এবং সেদেশের জনগণের সঙ্গে আছি।’

 

 

মলদোভার প্রেসিডেন্ট মাইয়া সান্ডু সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘রাশিয়ার অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। অন্তর্ঘাতমূলক কাজ এবং বেসামরিক মানুষের ছদ্মবেশে সামরিকভাবে প্রশিক্ষিত ব্যক্তিদের দিয়ে সহিংস কর্মকাণ্ড, সরকারি ভবনে হামলা এবং জিম্মি করার মতো কাজ করতে পারেন।’  

সান্ডু গত সপ্তাহে ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কাউন্সিলের শীর্ষ সম্মেলনে ইইউ নেতাদের কাছে জেলেনস্কি দেওয়া বিবৃতি তুলে ধরেন। জেলেনস্কির দাবি, ক্রেমলিন মলদোভাকে ধ্বংস করে দেওয়ার পরিকল্পনা আঁটছে।

মলদোভার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পর অবশ্য নিশ্চিত করে যে ইউক্রেন এমন একটি নথি পেয়েছে, যাতে রাশিয়ার চক্রান্তের বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে।

জেলেনস্কি ইইউ নেতাদের কাছে তার দাবি তুলে ধরার পরদিন মলদোভার প্রধানমন্ত্রী নাটালিয়া গ্যাভরিলিতা  পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এই ঘোষণার কিছুক্ষণ আগে ইউক্রেনে ছোড়া রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র মলদোভার আকাশসীমা হয়ে ইউক্রেনে আছড়ে পরে।