রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চীনের শান্তি পরিকল্পনা, সতর্ক পশ্চিমারা

ইউক্রেন-রাশিয়ার সংকট নিয়ে চলতি সপ্তাহে একটি শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে রাশিয়ার মিত্র চীন। যুদ্ধের এক বছরের মাথায় শান্তির উদ্যোগ নিয়েছে বেইজিং। এ প্রসঙ্গে জার্মানি, ইতালি এবং ফ্রান্সের সঙ্গে আলাপ হয়েছে বলে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে বলেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। যদিও বিষয়টিকে সতর্কতার সঙ্গে স্বাগত জানিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো।

প্রস্তাবে তিনি বলেন, ‘শান্তি পরিকল্পনায় সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং জাতিসংঘ সনদের নীতিগুলো সমুন্নত রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হবে।’ তবে রাশিয়ার বৈধ নিরাপত্তা স্বার্থকেও সম্মান জানানো প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

চীনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেন, ‘জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় চীন তার ক্ষমতার ব্যবহার করতে পারে।’

তবে শান্তির অর্থ কী দাঁড়ায়, এ বিষয়ে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইকে প্রশ্ন করেছিলেন আনালেনা বেয়ারবক।

বেয়ারবক আরও বলেন, ন্যায়সঙ্গত শান্তির অর্থ হচ্ছে রাশিয়া দখলকৃত দেশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে। আমরা সবাই প্রতিটি দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বকে স্বীকার করি। তবে শান্তির জন্য প্রতিটি সুযোগ কাজেও লাগাতে হবে।

ইউক্রেন থেকে সব রুশ সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার না করলে যুদ্ধ শেষ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে মনে করেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক। তার মতে, ‘দখল হওয়া ভূখণ্ড রাশিয়ার হাতে ছেড়ে দিয়ে যুদ্ধের অবসানের দাবি অগ্রহণযোগ্য। এর অর্থ দাঁড়ায়, আমরা ইউক্রেনের জনগণকে রাশিয়ার হাতে ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু আমরা তা করবো না।’

এদিকে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা জোর দিয়েন বলেন, ‘রুশ আগ্রাসনের নিন্দা জানাচ্ছে জাতিসংঘসহ তার দেশও। কিন্তু এ সংকট সমাধানে আমাদের সব ধরনের চেষ্টা চালাতে হবে। যুদ্ধ নিয়ে কথা বলার মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখতে পারি না। আমি তাৎক্ষণিক আলোচনার কথা বলছি না - ধাপে ধাপে যেতে হবে, সম্ভবত প্রথমে এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে যা আলোচনাকে সম্ভব করে তোলে।’ 

এদিকে নামিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী কুওগোঙ্গেলওয়া বলেন, ‘আমরা এই সংকটের সমাধান করতে চাই, দোষীকে খুঁজতে চাই না। একদিকে রাশিয়া অস্ত্রের জন্য অর্থ ব্যয় করবে অন্যদিকে ইউক্রেনকে সহায়তার জন্য অর্থায়ন করছে পশ্চিমা দেশগুলো। আসলে তাতে কোনও লাভ নেই।’   সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান