পেনশন সংস্কার নিয়ে চাপে ম্যাক্রোঁ

ফ্রান্সের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সোমবার পরীক্ষার সামনে পড়তে যাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট  ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টকে পাশ কাটিয়ে বিতর্কিত পেনশন সংস্কার আইন নিজের নির্বাহী ক্ষমতায় পাস করার পর তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে। সোমবার এই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে পার্লামেন্টে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

পেনশনের বয়সসীমা বাড়ানোর প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ চলে আসছে। বৃহস্পতিবার ম্যাক্রোঁ এটির অনুমোদন দেওয়ার পর প্যারিসসহ দেশজুড়ে টানা তিন দিন ধরে বিক্ষোভ চলছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সোমবারের অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব ম্যাক্রোঁ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকে উত্থাপন করা হয়েছে। তবে পার্লামেন্টে ম্যাক্রোঁর হেরে যাওয়ার আশঙ্কা কম।

শুক্রবার বিরোধী দলীয় আইনপ্রণেতারা পার্লামেন্টে দুটি অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। মধ্যপন্থী লিওট গোষ্ঠী বহুদলীয় অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। এটিকে সমর্থন জানিয়েছে উগ্র-বামপন্থী নিউপস জোট। কয়েক ঘণ্টা পর ফ্রান্সের উগ্র-জাতীয়তাবাদী দল ন্যাশনাল র‍্যালি পার্টিও অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। পার্লামেন্টে দলটির সদস্য সংক্যা ৮৮ জন।

গত বছর নির্বাচনের পর পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ হারিয়েছে ম্যাক্রোঁর ক্ষমতাসীন দল। তবু বহুদলীয় অনাস্থা প্রস্তাবটি পাস হওয়ার সুযোগ কম। যদি না উগ্র ডান ও উগ্র বামপন্থীরা মিলে কোনও সমঝোতায় না আসে।

রক্ষণশীল লেস রিপাবলিকাইনস (এলআর) দল এমন জোটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে। শুক্রবার আনা অনাস্থা প্রস্তাবে তারা সমর্থন দেয়নি। এরপরও চাপে রয়েছে ক্ষমতাসী দল।

ম্যাক্রোঁর সংস্কার কর্মসূচিতে পেনশনের বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়ে ৬৪ করা হয়েছে।  

ফ্রান্সের গুরুত্বপূর্ণ ট্রেড ইউনিয়নগুলোর একটি বৃহৎ জোট বলেছে তারা সিদ্ধান্তটি বদলানোর জন্য প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবে। বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে জোটটি।