ইউক্রেনে প্রাণঘাতী অস্ত্র না দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি রুশ মন্ত্রীর আহ্বান

ইউক্রেনকে প্রাণঘাতী, দূরপাল্লার বা জটিল আধুনিক ব্যবস্থার কোনও অস্ত্র না দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বুধবার এ আহ্বান জানান। ক্লাস্টার যুদ্ধাস্ত্রের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা কোনও অতিরঞ্জন খবর নয়। যুক্তরাষ্ট্র এমনটা করে আসছে শুরু থেকেই।’

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সেপ্টেম্বরের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ক্লাস্টার যুদ্ধাস্ত্র একটি বিস্তৃত এলাকায় একাধিক ছোট বোমা বা সাবমিনিশন ছেড়ে দেয়, যা বেসামরিক নাগরিকদের ব্যাপক ক্ষতির কারণ হতে পারে। এগুলো ১২০টিরও বেশি দেশে নিষিদ্ধ। তবে ইউক্রেনই বর্তমানে একমাত্র দেশ যেখানে তারা এগুলো ব্যবহার করছে।

রিপাবলিকান আইন প্রণেতাদের একটি দল মঙ্গলবার ইউক্রেনে ক্লাস্টার যুদ্ধাস্ত্র পাঠাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চাপ দেয়। তার কাছে লেখা চিঠিতে কংগ্রেসম্যানরা লেখেন, এ ধরনের যুদ্ধাস্ত্র না পাঠানোর পরিণতি হলো বাখমুতের মতো শহর ধংসস্তুপে পরিণত হওয়া।

ইউক্রেনের পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের বাখমুত শহরটি কয়েক মাস ধরে তিক্ত লড়াই দেখেছে।

রয়টার্স জানায়, চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এমকে-২০ এয়ার-ডেলিভারি ক্লাস্টার বোমা ও ১৫৫ মি.মি আর্টিলারি ক্লাস্টার শেল পাওয়ার আশা করছে ইউক্রেন।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের আর্মস অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর মেরি ওয়ারেহাম ২০২২ সালের আগস্টে বলেছিলেন, মানুষের জীবন, মানবিক নীতি এবং আইনের প্রতি বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইউক্রেনে ক্লাস্টার যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করেছে রাশিয়া।

রাশিয়া বা যুক্তরাষ্ট্রের কেউই ক্লাস্টার যুদ্ধাস্ত্র সংক্রান্ত জাতিসংঘের কনভেনশনে সই করেনি। এই চুক্তি অনুযায়ী ক্লাস্টার যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার, বিকাশ, উত্পাদন, অর্জন, মজুদ বা স্থানান্তর এবং সেইসঙ্গে অন্যান্য পক্ষকে এটি ব্যবহারে সহায়তা করা যাবে না। 

রিয়াবকভ বলেন, ‘আরও বেশি প্রাণঘাতী, দীর্ঘ-পাল্লার, জটিল আধুনিক ব্যবস্থাগুলোকে ইউক্রেনে পাঠানোর প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে। এভাবে যুক্তরাষ্ট্র বারবার এই সংঘাতে সরাসরি জড়িত একটি পক্ষের হয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করছে।’ সূত্র: নিউজউইক