ইউক্রেন যুদ্ধ: অস্ত্র বেচে রমরমা জার্মান ব্যবসায়ীরা

ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্ব অর্থনীতি যখন ধুঁকছে, সে সময়ে ফুলে-ফেঁপে উঠছে জার্মানির অস্ত্র ব্যবসা। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) উদ্ধৃতি দিয়ে ব্লুমবার্গ বুধবার এমন খবর ছেপেছে। নিউজ আউটলেটটি বলছে, গত বছর অস্ত্র রপ্তানিতে জার্মানি ষষ্ঠ স্থানে ছিল। প্রথম স্থানে যুক্তরাষ্ট্র, এরপর যথাক্রমে ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন এবং ইতালি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বার্লিন গত বছর মোট ৮ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ইউরোর (৯ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার) অস্ত্র রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে; যা ২০২১ সালে সর্বকালের সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৩৫-এর পর দেশটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থ। ইসরায়েলের কাছে ২০২২ সালে থাইসেনক্রুপ মেরিন সিস্টেমসে তৈরি তিনটি সাবমেরিন বিক্রি করেছিল জার্মানি। তেল আবিব প্রতিটি সাবমেরিন ১ বিলিয়ন ইউরোতে কিনেছিল।

 

 

ডুসেলডর্ফ-ভিত্তিক অস্ত্র প্রস্তুতকারক রাইনমেটাল জার্মানির বৃহত্তম প্রতিরক্ষা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২২ সালের তারা রেকর্ড ৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ইউরো আয় করেছে; যা ২০২১ থেকে ২৭ শতাংশ বেশি। ক্রমবর্ধমান চাহিদার মুখে প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ১০ মিলিয়ন ইউরোর বেশি মূল্যের অস্ত্র রপ্তানির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ছাড়া হাই-পারফরম্যান্স রাডার তৈরিকারী হেনসোল্ট ফেব্রুয়ারিতে রেকর্ড ৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ইউরো অর্ডার পেয়েছে।

বিশ্লেষকরা জার্মান অস্ত্র রপ্তানি বৃদ্ধিকে ইউক্রেনের সংঘাতের সঙ্গে মিলিয়েছেন দারুণভাবে। কিয়েভ গত বছর জার্মান অস্ত্রের সবচেয়ে বড় গ্রাহক হয়ে উঠে। বার্লিন থেকে ২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম এবং যন্ত্রপাতি কিনেছে কিয়েভ।

জার্মান অস্ত্র রপ্তানি কেবল ইউক্রেনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, নেদারল্যান্ডস বার্লিনের কাছ থেকে ১ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ইউরোর অস্ত্র কিনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তারপর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং হাঙ্গেরি রয়েছে। সূত্র: আরটি