তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এগিয়ে এরদোয়ান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট বা রানঅফে এগিয়ে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। স্থানীয় সময় রবিবার (২৮ মে) রাতে ভোট গণনার পর বেসরকারি ফল ঘোষণা শুরু হয়েছে। ৮৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ ভোট গণনার পর এগিয়ে রয়েছেন তিনি। এর মধ্যে তিনি পেয়েছেন ৫৩ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ ভোট। শুরুতে ব্যবধান আরও বেশি থাকলেও ধীরে ধীরে তা কমছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে। 

স্থানীয় সময় রবিবার সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে বিকাল ৫টার দিকে শেষ হলে শুরু হয় গণনা। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার পর তুর্কি সংবাদমাধ্যম ফল প্রকাশ শুরু করে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চূড়ান্ত ফল পাওয়া যেতে পারে। 

এই পর্বে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এবং ছয় দলীয় জোটের প্রার্থী কিলিচদারোগলু।  

গত ১৪ মে'র প্রথম দফা ভোটে তুর্কি প্রেসিডেন্টের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলেছিলেন কিলিচদারোগলু। ওই সময় এরদোয়ান ৪৯.৫২ শতাংশ, কিলিচদারোগলু ৪৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং সিনান ওগান ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। কেউ ৫০ শতাংশের বেশি না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় গড়িয়েছে ভোট। ৬৪ মিলিয়ন ভোটারের মধ্যে ৮৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ ভোট দিয়েছিলেন।

প্রথম দফার ভোটে তৃতীয় স্থানে থাকা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সিনান ওগান পরে এরদোয়ানকে সমর্থন জানান। এতে তার জয়ের সুযোগ বেড়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।

রানঅফেও মোট ভোটারের সংখ্যা ৬৪ মিলিয়ন। তুরস্কের ইতিহাসে এটিই প্রথম রানঅফ। এর আগে ৭৩টি দেশে থাকা ১.৯ মিলিয়ন প্রবাসী ভোটার নিজেদের ব্যালট পাঠিয়ে দিয়েছেন।

রবিবার টুইটারে সমর্থকদের প্রতি ব্যালট বক্সের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন এরদোয়ান। তিনি বলেছেন, ফল চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত পাহারায় থাকতে। ভোট গণনা দেখার অধিকার রয়েছে প্রত্যেক তুর্কি নাগরিকের। এটি করার ফলে তা তুরস্কের ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।

তিনি আরও বলেছেন, এখন জনগণের ইচ্ছা সুরক্ষার সময় এসেছে।

তার প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারোগলুও দলের কর্মী-সমর্থকদের প্রতি একই আহ্বান জানিয়েছেন।

এর আগে নিজের ভোট দিয়ে এরদোয়ান বলেছিলেন, তুরস্কের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে এটি প্রথম রানঅফ। প্রথম ধাপে প্রায় ৯০ শতাংশ ভোটার অংশ নিয়েছেন। আমি মনে করি আজকেও এমনটি হবে। আমি প্রার্থনা করি এতে আমাদের দেশ ও জনগণের কল্যাণ হবে।

ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য অজুহাত না দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

কিলিচদারোগলু ভোট দিয়ে প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, নিপীড়ন এবং স্বৈরাচারী শাসকের কাছ থেকে মুক্তি, গণতন্ত্র ও মুক্তি ফিরিয়ে আনার জন্য আমি জনগণকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

নির্বাচনি প্রচারের সময় প্রোপাগান্ডা ও অপবাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। বলেছেন, জনগণের কাণ্ডজ্ঞানের ওপর আস্থাশীল তিনি।

সূত্র: আল জাজিরা