কৃষ্ণসাগরীয় বহরে সামরিক নৌযান কমাচ্ছে রাশিয়া?

অধিকৃত ক্রিমিয়ায় কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহরের সদর দফতর থেকে বেশ কিছু সংখ্যক নৌযান প্রত্যাহার করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনীয় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে উপদ্বীপটিতে মস্কো যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে এটি তার ইঙ্গিত হতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এ খবর জানিয়েছে।

পশ্চিমা কর্মকর্তাদের বক্তব্য ও স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী নৌযান সরিয়ে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি অ্যাটাক সাবমেরিন ও দুটি ফ্রিগেট। সেভাস্তোপোল থেকে এগুলো রাশিয়ার বিভিন্ন বন্দরে নেওয়া হয়েছে।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রিমিয়ার বিভিন্ন স্থানে একাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এর মধ্যে কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহরের সদর দফতরে হামলা ছিল সবচেয়ে বড়।

নৌ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্রিমিয়া থেকে নৌযানগুলোকে সরিয়ে নেওয়ার সামরিক প্রভাব খুব সীমিত হতে পারে। কারণ এই জাহাজগুলো দূর থেকে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারবে।

ইউক্রেনীয় হামলার ফলে ইতোমধ্যে কৃষ্ণসাগরের ইউক্রেনের বন্দরগুলোতে রাশিয়ার অবরোধ ভেঙে পড়েছে। সাগরের কিছু অংশে যেতে পারছে না রুশরা। একই সঙ্গে শস্য রফতানির জন্য নতুন একটি করিডোর গড়ে তুলেছে কিয়েভ।

তবে ইউক্রেন যখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ পরিচালনা করছে তখন এই প্রত্যাহার কিয়েভের মনোবল বাড়িয়ে দেবে। এই বিষয়ে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনও মন্তব্য জানা যায়নি।

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস হেপি পোল্যান্ডে এক সম্মেলনে এই সপ্তাহে বলেছিলেন, সশস্ত্রবাহিনীর কাছে নৌযান ফিরিয়ে নেওয়া কৃষ্ণসাগরীয় বহরের কার্যকর পরাজয়।