সৌদি আরব ও আমিরাত সফরে যাচ্ছেন পুতিন, আলোচনায় থাকবে হামাস-ইসরায়েল সংঘাত

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক দিনের সফরে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন।  মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন এই ঘোষণা দিয়েছে। দুই দেশ সফরে পুতিন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান সংঘাত নিয়ে আলোচনা করবেন। একই সঙ্গে চলতি সপ্তাহে মস্কো সফর করবেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।

ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, বুধবার সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন পুতিন। আলোচনায় থাকবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, হামাস ও ইসরায়েলের সংঘাত ও অপর আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী।

পেসকভ বলেছেন, ওপেকপ্লাসের অধীনে তেলের উৎপাদন কমানোর বিষয়টিও এজেন্ডায় থাকবে।

পুতিনের মধ্যপ্রাচ্য সফরের কথা প্রথম ঘোষণা দেন তার পররাষ্ট্র-বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ। তবে তিনি সফরের কোনও তারিখ জানাননি।

এমন সময়  পুতিন মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দুটি দেশ সফর করবেন যখন অঞ্চলটিতে নিজেকে একজন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে হাজির  করতে চাইছে মস্কো।

পেসকভ বলেছেন, বৃহস্পতিবার  ক্রেমলিনে ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে বৈঠক করবেন পুতিন।

অক্টোবরে চীন সফর করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশও সফর করেন তিনি।

মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। ইউক্রেন থেকে শিশুদের অপহরণে তাকে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করে এই পরোয়ানা জারি করা হয়। এটি জারির পর দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকেন তিনি। কারণ দেশটিতে পদার্পণ করলে তাকে গ্রেফতারে আইনত বাধ্য ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত আইসিসির প্রতিষ্ঠাকালীন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি। ফলে তাদের ওপর কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।