পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে ইরান ও রাশিয়ার উদ্যোগ জোরদার করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দোল্লাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মস্কো সফরের আগে রাশিয়া পৌঁছেছেন আমিরাব্দোল্লাহিয়ান। বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন রাইসি।
আমিরাব্দোল্লাহিয়ান মঙ্গলবার পাঁচ দেশের কাসপিয়ান ইকোনমিক ফোরামের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকেও যোগ দেন। এই ফোরামে রাশিয়া, ইরান ছাড়া রয়েছে আজারবাইজান, খাজাখস্তান ও তুর্কমেনিস্তান।
রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক জানিয়েছে, ল্যাভরভ ও আমিরাব্দোল্লাহিয়ান নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে একটি নথিতে স্বাক্ষর করেছেন। নথিটি একতরফা জবরদস্তিমূলক পদক্ষেপের নেতিবাচক পরিণতির প্রতিক্রিয়া, প্রশমন এবং ক্ষতিপূরণের উপায় এবং পথ সম্পর্কে রাশিয়া ও ইরানের ঘোষণা।
ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইরান সরবরাহ করতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি গত মাসে বলেছিলেন, ইতোমধ্যে রাশিয়াকে ড্রোন, গাইডেড অ্যারিয়েল বোম্ব ও কামানের গোলা সরবরাহ করেছে। এবার হয়ত রাশিয়াকে সমর্থনে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তেহরান।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের জেরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, দেশটির সামরিক ব্যক্তি, ধন কুবেরদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয় ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউ জিল্যান্ডসহ বিশ্বের অনেক দেশ রাশিয়ার ওপর ধারাবাহিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যাচ্ছে। আর পারমাণবিক কর্মসূচির কারণে ইরানের ওপরও রয়েছে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা।