ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ভিডিও লিঙ্কে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটরদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। ভাষণে তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের লড়াইয়ে মার্কিন সহযোগিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাবেন। এমন সময় তিনি এই ভাষণ দিতে যাচ্ছেন যখন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন কংগ্রেসের কাছে আহ্বান জানিয়েছে কিয়েভের জন্য আরও ৬১ বিলিয়ন ডলারের তহবিল অনুমোদনের জন্য। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।
সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা চাক শুমার জেলেনস্কির ভাষণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। সোমবার হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে জরুরি সতর্কবার্তা দেওয়ার পর তিনি এই ঘোষণা দিয়েছিলেন।
চাক শুমার বলেছিলেন, প্রশাসন জেলেনস্কিকে সিনেটরদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। যাতে তারা সরাসরি তার কাছ থেকে নির্দিষ্টভাবে জানতে পারেন।
গোপন এই ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
প্রতিনিধি পরিষদ এবং সিনেট নেতাদের কাছে পাঠানো প্রকাশ্য এক চিঠিতে হোয়াইট হাউজের অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট-এর ডিরেক্টর শালান্দা ইয়ং সতর্ক করে বলেছিলেন, ইউক্রেনকে অস্ত্র ও অন্যান্য সহায়তা পাঠানোর জন্য বছরের শেষ নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের তহবিল শেষ হয়ে যাবে, যা যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনকে ‘হাঁটু গেড়ে বসতে’ বাধ্য করবে।
তিনি আরও বলেছিলেন, ইউক্রেনের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের বরাদ্দকৃত অর্থ ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। ইউক্রেনের অর্থনীতি যদি ভেঙে পড়ে, তবে তারা লড়াই চালিয়ে যেতে পারবে না, একেবারে ফুলস্টপ। আমাদের তহবিল শেষ এবং সময়ও প্রায় শেষ।’
ইউক্রেন, ইসরায়েল এবং অন্যান্য সহায়তার জন্য প্রায় ১০ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ চেয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে তার এ আবেদন ক্যাপিটল হিলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। সেখানে ইউক্রেনের জন্য সহায়তার পরিমাণ নিয়ে ক্রমবর্ধমান সংশয় দেখা দিচ্ছে। এমনকি এ অর্থায়নে সমর্থন দেওয়া রিপাবলিকানরাও এ সহায়তার শর্ত হিসেবে অভিবাসীদের প্রবাহ বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত নীতি পরিবর্তন করার ওপর জোর দিচ্ছেন।
ইউক্রেনকে সহায়তার জন্য ইতোমধ্যে ১১ হাজার ১০০ কোটি বরাদ্দ করেছে কংগ্রেস, যার মধ্যে ৬ হাজার ৭০০ কোটি সামরিক ক্রয় তহবিল, দুই হাজার ৭০০ কোটি অর্থনৈতিক ও বেসামরিক সহায়তা এবং এক হাজার বিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তা রয়েছে।
চিঠিতে ইয়াং বলেছিলেন, সামরিক তহবিলের প্রায় ৩ শতাংশ ছাড়া সব অর্থ নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে শেষ হয়ে গেছে।
বাইডেন প্রশাসন বলেছে, কংগ্রেস আরও তহবিল অনুমোদন না করায় সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কিয়েভকে সামরিক সহায়তার গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।