সীমান্তে যুদ্ধবন্দি বিনিময় করেছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। কয়েক দশকের পুরানো সংঘাত সমাধানে বা তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছে আজারবাইজান। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
রুশ বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান সেনা প্রত্যাহারের আলোচনা করেছে। যদিও এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে বন্দি বিনিময়ের ঘোষণা করে দুইপক্ষ বলে, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার নীতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর ইচ্ছা পোষণ করেছে। এই চুক্তিটিকে স্বাগত জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালে ৩২ আর্মেনিয়ান বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল আজারবাইজানের। সেই প্রেক্ষিতে, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে আটক দুই আজারবাইজানীয় সেনাকে মুক্তি দিয়েছে আর্মেনিয়া।
আজারবাইজানের নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে ৩০ বছর ধরে দুটি যুদ্ধ করেছে দক্ষিণ ককেশাসীয়রা। এখানে ১৯৯০ দশকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ডি ফ্যাক্টো স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেছিল জাতিগত আর্মেনীয়রা। কিন্তু গত সেপ্টেম্বরে একটি ঝ্বটিকা আক্রমণে কারাবাখ পুনরুদ্ধার করে আজারবাইজান। সেসময় এক লাখ ২০ হাজার জাতিগত আর্মেনীয় পালিয়ে যায়।
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান উভয়ই সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল। ১৯৯১ সালে এটি ভেঙে আলাদা হয়ে যায়। পরে এই অঞ্চলের নিরাপত্তার অভিভাবক হিসেবে কাজ করে রাশিয়া। কিন্তু ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে গত দুই বছরে রাশিয়ার প্রভাব হ্রাস পেয়েছে।