ইউক্রেনের হামলায় রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ বিধ্বস্ত

ক্রিমিয়ার ফিওডোসিয়া বন্দরে ইউক্রেনীয় বাহিনীর হামলায় রাশিয়ার বড় একটি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন একজন। ইউক্রেনের রাশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করা দাবির পরই মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে মস্কো। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, ফিওডোসিয়া আক্রমণ করার জন্য ইউক্রেন এয়ার লঞ্চড মিসাইল ব্যবহার করেছে। এর আঘাতে ‘নোভোচেরকাস্ক’ নামে অবতরণ জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

‘নোভোচেরকাস্ক’ পোল্যান্ডে নির্মিত হয়েছিল। ১৯৮০’র দশকের শেষের দিকে এটি পরিষেবার জন্য চালু হয়। ট্যাঙ্কসহ বিভিন্ন ধরণের সাঁজোয়া যান বহন করতে পারে এটি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে বেশ কয়েকটি রুশ নিউজ আউটলেটের পোস্ট করা ফুটেজ কথিতভাবে বন্দর থেকে শক্তিশালী বিস্ফোরণ এবং আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।

ক্রিমিয়ার রুশ সমর্থিত গভর্নর সের্গেই আকসিওনভ টেলিগ্রামে বলেছেন, এই হামলায় একজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন। 

পাল্টা আক্রমণে যুদ্ধক্ষেত্র সামান্যই অগ্রগতি করেছে ইউক্রেন। এমনকি সেগুলোর বেশ কয়েকটি জায়গা রুশ সামরিক বাহিনী আবার পুনরুদ্ধারও করে ফেলেছে। তবে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর সদর দফতর ক্রিমিয়াতে ধারাবাহিকভাবে হামলা চালিয়ে গুরুতর ক্ষতি সাধনে সক্ষম হয়েছে ইউক্রেন।

ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী বলেছে, তাদের পাইলটরা স্থানীয় সময় মধ্যরাত ২ টা ৩০ মিনিটের দিকে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ফিওডোসিয়া আক্রমণ করেছিল। এতে ‘নোভোচেরকাস্ক’ ধ্বংস হয়।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর কমান্ডার মাইকোলা ওলেশচুক টেলিগ্রামে জানিয়েছেন, ‘রাশিয়ার নৌবহর ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে! বিমান বাহিনীর পাইলট এবং এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ।’