ক্রিমিয়ায় আরেকটি রুশ যুদ্ধজাহাজ ডুবিয়ে দেওয়ার দাবি ইউক্রেনের

দখলকৃত ক্রিমিয়ার উপকূলে রাশিয়ার আরও একটি যুদ্ধজাহাজে হামলা চালিয়ে ডুবিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে ইউক্রেন। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) একটি সামুদ্রিক ড্রোন রুশ জাহাজটির পোর্ট সাইডে আঘাতের পর তা ডুবে যেতে শুরু করে। ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ও সশস্ত্র বাহিনী এই দাবি করেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

কৃষ্ণসাগরে রুশ যুদ্ধজাহাজে এই হামলার বিষয়ে রাশিয়ার তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এর আগে তারা দাবি করেছিল, কৃষ্ণ সাগরে ছয়টি ড্রোন তারা ধ্বংস করেছে। 

ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী টেলিগ্রাম অ্যাপে লিখেছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গোয়েন্দা সংস্থার ইউনিটকে সঙ্গে নিয়ে ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনী রাশিয়ার বৃহদাকার জাহাজ সেজার কুনিকভে হামলা চালানো হয়েছে। এটি আলুপকার কাছে ইউক্রেনীয় জলসীমার কাছাকাছি ছিল।

কৃষ্ণসাগরীয় রিসোর্ট শহর আলুপকা ক্রিমিয়ার দক্ষিনভাগের ইয়াল্টা থেকে খুব দূরে নয়। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়াকে বিচ্ছিন্ন করে নিজেদের দখলে নিয়েছিল মস্কো।

ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা হামলার ঝাপসা ভিডিও প্রকাশ করেছে টেলিগ্রামে। এতে দেখা গেছে, রাতের অন্ধকারে একাধিক সামুদ্রিক ড্রোন বিশাল জাহাজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং অন্তত একটি বিস্ফোরণ ঘটেছে।

ভিডিওতে থাকা জাহাজটি শনাক্ত করতে পারেনি রয়টার্স। এছাড়া ভিডিও ধারণের স্থান ও সময়ও স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি বার্তা সংস্থাটি। 

ইউক্রেনের দাবি, এই যুদ্ধজাহাজটি রাশিয়ার নতুন নৌযানগুলোর একটি। এটিতে ৮৭ জন ক্রু থাকে। সিরিয়া, জর্জিয়া ও ইউক্রেনে যুদ্ধে অংশ নিয়েছে সেজার কুনিকভ।

ইউক্রেনের নৌবাহিনীর কাছে বড় কোনও যুদ্ধজাহাজ অবশিষ্ট নেই। কৃষ্ণ সাগর থেকে রুশ নৌবহরকে পিছু হটাতে তারা নতুন ধরনের সামুদ্রিক ড্রোন উদ্ভাবন করেছে। যা দিয়ে নিয়মিত রুশ যুদ্ধজাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে। 

ডিসেম্বরে ইউক্রেনের এক সিনিয়র গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেছিলেন, ইতোমধ্যে তারা রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহরের ২০ শতাংশ জাহাজ ধ্বংস করেছে।

চলতি মাসে ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনীয় ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে আরেকটি রুশ যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস হয়েছিল।