দ্রুতগতির ফেরারির ধীরগতিতে ফিরে পাওয়া

১৯৯৫ সালের এপ্রিল মাস। ইতালির ইমোলা শহরে ফর্মুলা ওয়ান চ্যাম্পিয়নশীপের সান মারিনো গ্র্যান্ড প্রিক্সের আসর চলছিল। তখনই ঘটে এক বিপত্তি। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আনা দুটি লাল ফেরারি স্পোর্টস কার হঠাৎই ফেরার হয়ে যায়। হাজার খোঁজেও সেগুলোর হদিস মেলেনি। তবে গচ্ছা যাওয়ার প্রায় ৩ যুগ পর দুটি গাড়ির একটির সন্ধান পাওয়া গেছে। সোমবার (৪ মার্চ) এফ৫১২এম মডেলের লাল ফেরারিটির সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছে ব্রিটিশ পুলিশ। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

১৯৯৫ সালে অস্ট্রিয়ান ফর্মুলা ওয়ান ক্রীড়াবিদ গেরহার্ড বার্গারের কাছ থেকে এফ৫১২এম মডেলের ফেরারিটি চুরি করা হয়েছিল। দ্রুতগতির এই গাড়িটির ধীরগতিতে ফেরার খবরটি বেশ সাড়া ফেলেছে।

আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি, এতদিনেও গাড়িটির ব্যাপারে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে জানুয়ারিতে প্রথমবারের মতো হারিয়ে যাওয়া এই ফেরারি বিষয়ে তথ্য পায় লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ। তাদেরকে একটি ফেরারিকে চুরি যাওয়া গাড়ি হিসেবে চিহ্নিত করার কথা জানিয়েছিল একটি নির্মাতা কোম্পানি। গাড়িটি তখন যুক্তরাজ্যের এক ব্রোকারের কাছ থেকে মার্কিন ক্রেতার কাছে বিক্রি হওয়ার প্রক্রিয়াধীন ছিল।

পুলিশের অর্গানাইজড ভেহিকেল ক্রাইম ইউনিটের তদন্তে জানা গেছে, ২০২৩ সালের শেষের দিকে জাপান থেকে ব্রিটেনে আনা হয়েছিল গাড়িটিকে। এর বর্তমান মূল্য প্রায় সাড়ে তিন লাখ পাউন্ড! সেটি এখন পুলিশের কব্জায় রয়েছে।

তদন্তের নেতৃত্বদানকারী কনস্টেবল মাইক পিলবিম বলেছেন, ‘আমাদের অনুসন্ধানগুলো বেশ কষ্টসাধ্য ছিল। এসময় বিশ্বের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়েছিল আমাদের।’

তিনি আরও বলেন, ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি, ফেরারি এবং আন্তর্জাতিক গাড়ির ডিলারশিপসহ বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে আমরা দ্রুত কাজ করেছি, যা গাড়ির পটভূমি বুঝতে এবং এটির দেশের বাইরে পাচার হওয়া রোধ করতে সহায়ক ছিল।’

পুলিশ আরও জানিয়েছে, গাড়ি চুরির সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এমনকি চুরি যাওয়া দ্বিতীয় ফেরারিটিরও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে এফ৫১২এম মডেলের ৫০১টি ফেরারি তৈরি করা হয়েছিল। গাড়িটির সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ৩১৫ কিলোমিটার (১৯৬ মাইল)।