খারকিভে রুশ হামলায় নিহত ১০

ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে হামলা করেছে রুশ বাহিনী। শনিবার (১৮ মে) ওই হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

খারকিভের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের খারকিভ এলাকায় হামলা করেছে রুশ সেনারা। পৃথক পৃথক ওই হামলায় একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২৫ জন।

চলতি সপ্তাহে খারকিভ শহরে অবিরত রুশ আক্রমণের এটিই সর্বশেষ হামলা। এই শহরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও গাইডেড বোমা হামলা করেছে রুশ বাহিনী।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার খারকিভের বাইরে একটি বিনোদন কেন্দ্রে রুশ হামলায় পাঁচ জন নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়েছেন। ঠিক ওই সময় কুপিয়ানস্ক জেলার দুটি গ্রামেও হামলা চালায় রুশ সেনারা। সেই হামলায়ও পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৯ জন।

স্থানীয় গভর্নর ওলেহ সিনিয়েহুবভ বলেছেন, কুপিয়ানস্ক জেলার দুটি গ্রামে রকেট লঞ্চার দিয়ে গোলাবর্ষণ করেছে রুশ বাহিনী। এদিকে, নিহত ও আহতদের সংখ্যা জানিয়েছেন খারকিভ শহরের মেয়র ইহর তেরেখভ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে খারকিভ শহরের মেয়র ইহর তেরেখভ বলেন, দুপুরের দিকে খারকিভের কাছাকাছি একটি উপশহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। সেখানে এক বিনোদন কেন্দ্রে দুইটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হয়। ওই হামলায় পাঁচ জন নিহতসহ ১৬ আহত হন।

উদ্ধারকর্মীরা সাংবাদিকদের বলেন, একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ হয়েছে। প্রায় ১৫-২০ মিনিট পরেও একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ধ্বংসস্তূপের নিচে একজন ব্যক্তির মৃতদেহ পড়েছিল। ওই সময় ধ্বংসস্তূপে হ্যান্ডব্যাগ খুঁজতে গিয়ে মরদেহের দৃশ্য দেখে হতবাক হয়েছিলেন এক নারী।

৬৯ বছর বয়সী ভ্যালেন্টিনা বলেন, বিস্ফোরণের সময় আমি বাড়িতে ছিলাম। বিস্ফোরণে আমার স্বামী নিহত হয়েছেন।

তিনি চিৎকার করে বলেন, আমার স্বামী হারিয়েছি, আমার ঘর হারিয়েছি, আমার সবকিছু হারিয়েছি। এটি আমাকে খুব আঘাত দিয়েছে। তিনি চিৎকার করে আরও বলেন, তারা (রাশিয়ানরা) পশু, তাদের মানুষ হত্যা করা কেন দরকার?