কাজী আনিস আহমেদের থ্রিলার উপন্যাস ‘কার্নিভোর’ প্রকাশ করবে হার্পারফিকশন

ব্রিটিশ প্রকাশনা সংস্থা হার্পারফিকশন বাংলাদেশের প্রকাশক ও সাংবাদিক কাজী আনিস আহমেদের থ্রিলার উপন্যাস ‘কার্নিভোর’-এর ইংরেজি ভাষার বিশ্বস্বত্ব কিনেছে। গ্রেহাউন্ড লিটারারির এজেন্ট চার্লি ক্যাম্পবেলের কাছ থেকে হার্পারফিকশনের সম্পাদক মরগান স্প্রিংগেট উপন্যাসটির সত্ত্ব কিনেছেন। হার্ডব্যাক সংস্করণে ২০২৫ সালের জুনে বইটি প্রকাশিত হবে। দ্য বুক সেলার ডটকম এ খবর জানিয়েছে।

উপন্যাসটি নিউ ইয়র্কের একজন উচ্চমানের রেস্তোরাঁ মালিকের জীবন সংগ্রামকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার পর তার আর্থিক অবস্থার অবনতি ঘটে।

উপন্যাসের বিবরণে বলা হয়েছে, কোনও উপায়ান্তর না থাকায় বরিস নামের সহিংস সুদ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বড় অঙ্কের ঋণ নেন কাশ। তবে তার একটি পরিকল্পনা আছে। ধনী পাঁচ জন বিলিয়নিয়ারের একটি ডিনার ক্লাবের গুঞ্জন রয়েছে, যেখানে তারা পালাক্রমে নৈশভোজের আয়োজন করেন। প্রচুর অহংকার ও প্রচুর অর্থ। যদি কাশ সেই কাজটি পেয়ে যান, তবে তা বরিসের ঋণ শোধ করার জন্য যথেষ্ট হবে। কিন্তু তাকে এমন কিছু পদ রান্না করতে হবে, যেগুলোর স্বাদ তারা আগে কখনও গ্রহণ করেননি। সৌভাগ্যক্রমে, বরিসের সহিংস আচরণের ফলে তার কাছে এমন বিরল মাংস রয়েছে, যা দিয়ে তিনি তাদের চমকে দিতে পারবেন।

বাংলাদেশের ঢাকার বাসিন্দা আনিস আহমেদ ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউন, বাংলা ভাষার নিউজপোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন, ঢাকা লিট ফেস্টের সহ-পরিচালক, ইউনিভার্সিটি অব লিবারাল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং পেন বাংলাদেশের বর্তমান সভাপতি।

এই বিষয়ে তিনি বলেন, “হার্পারকলিন্স ‘কার্নিভোর’ প্রকাশ করতে যাচ্ছে, এটি আমার জন্য এক বিশাল আনন্দের বিষয়। এটি সীমাহীন লোভ ও বেপরোয়া পরিকল্পনার গল্প। আমি আশা করি চরিত্রগুলোর সংগ্রাম ও সাহসিকতা পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণ করবে ও আনন্দ দেবে।”

উপন্যাসটির বিষয়ে চার্লি ক্যাম্পবেল বলেন, “একটি অনন্য বই ‘কার্নিভোর’, যেটির গূঢ় হাস্যরস ও অবিশ্বাস্য গাঁথুনি পাঠকদের মুগ্ধ করবে। আমি খুবই আনন্দিত যে মর্গান স্প্রিংগেট এবং হার্পারকলিন্স এটি প্রকাশ করতে যাচ্ছে।

হার্পারফিকশনের সম্পাদক মর্গান স্প্রিংগেট বলেন, “কাজী আনিস একজন চমৎকার গল্পকার এবং তার বুদ্ধিদীপ্ত ও হাস্যরসাত্মক এই বইটি আমাকে প্রথম পাতা থেকেই মুগ্ধ করেছে। তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে অভিজাত রেস্তোরাঁ দুনিয়াকে বিলিয়নিয়ার, অভিবাসী ও মবস্টারদের জগতের সঙ্গে মিশিয়েছেন। যেখানে পাঠকদের নৈতিকতার প্রশ্ন তোলা হয়েছে—কোন পর্যায়ে তারা সেই সীমা অতিক্রম করবে? এটি ‘দ্য বেয়ার’ ও ‘দ্য মেনু’-এর মিলন, কিন্তু সব কিছু আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে।”