রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে হাঙ্গেরিতে শিক্ষকদের সর্বাত্মক ধর্মঘট

শিক্ষাঙ্গনে সরকারি হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে কয়েক হাজার হাঙ্গেরিয়ান শিক্ষক ধর্মঘট ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। বুধবার দেশজুড়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে ভারতের এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।

২০১২ সালে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান স্কুলগুলোতে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করার পর গত বছর নভেম্বর থেকে শিক্ষকরা আন্দোলন করে আসছেন। এই মাসেই শিক্ষকদের মিছিলে প্রায় লাখ খানেক শিক্ষক ও সমর্থনকারীরা অংশ নেন। ২০১৪ সালের পর থেকে এটা ছিল হাঙ্গেরিতে সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ।

হাঙ্গেরিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও ধর্মঘট

আন্দোলনকারীরা জানান, বুধবারের প্রতিবাদে ২০০টি স্কুল আনুষ্ঠানিকভাবে অংশ নেয়। স্থানীয় সময় সকাল আটটা থেকে নয়টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচিতে অনানুষ্ঠানিকভাবে বহু শিক্ষক অংশ নেন।

সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, শিক্ষকরা স্কুল ভবনকে ঘিরে গোলাকার মানববন্ধন তৈরি করেছেন। এতে সংহতি প্রকাশ করেন অনেক শিক্ষার্থীও যোগ দেন।

বুডাপেস্টেরে ফেরেনস কলসেই হাইস্কুলের প্রায় শখানেক শিক্ষক মানববন্ধনে অংশ নেন। তাদের মধ্যে একজন ফরাসি শিক্ষক কাতালিন টরলে বলেন, এটা মাত্র শুরু। যদি সরকারের পক্ষ থেকে কোনও কার্যকর সাড়া পাওয়া না যায় তাহলে আমরা চাপ বৃদ্ধি অব্যাহত রাখব।

টরলে বলেন, এটা আন্দোলনের ভিন্নরূপ। এটা এখানে আগে কখনও ঘটেনি। এ পেশায় জড়িত সবাই আন্দোলনে নেমে এসেছেন।

শিক্ষকরা বুধবারকে ধর্মঘট না বলে বেসামরিক অসহযোগিতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কারণ হাঙ্গেরির শ্রম আইনে যে কোনও ধরনের ধর্মঘটকে বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে।

আন্দোলনকারী ইসতভান পুকলি জানান, দুই সপ্তাহের মধ্যে সরকার যদি শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় না বসে তাহলে আরও অসহযোগিতামূলক কর্মসূচি পালিত হবে।

আন্দোলনকারীরা ১২টি দাবি তুলে ধরেছেন। আই ওয়ান্ট টু টিচ (আমি শেখাতে চাই) ব্যানারে সুশীল সমাজ এই আন্দোলন পরিচালনা করছে। শিক্ষকদের দাবির মধ্যে রয়েছে, স্কুলের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কাজের চাপ কমানো এবং শিক্ষায় রাষ্ট্রীয় ব্যয় বাড়ানো। সূত্র: এনডিটিভি।

/এএ/বিএ/