যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হতে পারে না ইউরোপ: ম্যার্কেল

অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেলজার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ও ব্রেক্সিটের পর ইউরোপ আর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হতে পারে না। রবিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

জার্মান চ্যান্সেলর জানান, রাশিয়াসহ উভয় দেশের সঙ্গেই বন্ধুত্বপূর্ণ রক্ষা করতে তিনি চেয়েছিলেন। কিন্তু ইউরোপকে এখন নিজের ভাগ্য নিয়ে লড়াই করতে হচ্ছে।

জি-সেভেন সম্মেলনে ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ব্যর্থতার পর ম্যার্কেল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য নিয়ে এ মন্তব্য করেছেন। জি-সেভেন সম্মেলনে এ বিষয়ে আলোচনা খুব কঠিন ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।

দক্ষিণ জার্মানির মিউনিখে এক নির্বাচনি সমাবেশে ম্যার্কেল বলেন, অন্যের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করার সময় শেষ হয়ে গেছে। গত কয়েকদিনে আমার এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে।

ভাষণে ম্যার্কেল জানান, ফ্রান্সের নতুন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁখোর সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করাই এখন সবচেয়ে অগ্রাধিকার পাবে।

এর আগে জি-সম্মেলেন চলার সময় প্যারিস জলবায়ু চুক্তি নিয়ে ম্যার্কেল পরিস্থিতিকে ছয় বিরুদ্ধে এক হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।

উল্লেখ্য, শনিবার (২৭ মে) প্যারিস জলবায়ু চুক্তির প্রতি  নিজেদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে শিল্পোন্নত সাত দেশের জোট জি সেভেন এর ছয়টি সদস্য রাষ্ট্র। তবে এ চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিষ্কার করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটি তার এ সংক্রান্ত নীতি পুনর্মূল্যায়ন করছে।

কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান ও যুক্তরাজ্য এবং ইরোপীয়ান কমিশন প্যারিস জলবায়ু চুক্তির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি আবারও নিশ্চিত করতে সম্মত হয়েছে।

ঐতিহাসিক প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী, দু’বছর আগে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। আর সে মোতাবেক, বিশ্বের ১৯৫টি দেশের বাতাসে কার্বন দূষণের মাত্রা কমাবার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায় শিল্পোন্নত সাত দেশ। তবে এখন সেখানে যুক্তরাষ্ট্র থাকবে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়।

এদিকে, নির্বাচনি জরিপ অনুসারে জার্মান চ্যান্সেলর হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হতে পারেন ম্যার্কেল। চলতি বছর সেপ্টেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সূত্র: বিবিসি।

আরও পড়ুন-

/এএ/