চলে গেলেন জার্মান ‘পুনর্মিলনের চ্যান্সেলর' হেলমুট কোল

হেলমুট কোলআধুনিক জার্মান ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সাবেক চ্যান্সেলর হেলমুট কোল মৃত্যুবরণ করেছেন। বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে এ খবর জানিয়েছে।

সাবেক পূর্ব জার্মানির পথে-পথে যে শান্তিপূর্ণ বিপ্লবের ঢেউ শুরু যখন হয়েছিল তখন দৃঢ়তা ও সাহসিকতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। দুই জার্মানির একত্রিত হওয়ার ক্ষেত্রে কোলের অবদান ও সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলে  তিনি জার্মানির ‘পুনর্মিলনের চ্যান্সেলর’ হিসেবে পরিচিতি পান।

১৯৯০ সালের ৩ অক্টোবর ছিল হেলমুট কোল-এর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে সফল দিন। ওইদিনই বার্লিন দেয়াল ভেঙে পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানি একত্রিত হয়। তবে রাজনৈতিক জীবনে চাঁদা কেলেঙ্কারির কারণে সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে যান তিনি। তার গৌরবজনক রাজনৈতিক জীবনে চাঁদা কেলেঙ্কারিকে কালো ছায়া হিসেবে মনে করা হয়।

জার্মান ও ইউরোপীয় ঐক্যের প্রতি আস্থাশীল ছিলেন কোল। ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যে বিশেষ সম্পর্ক আরও জোরদার করা থেকে শুরু করে অভিন্ন মুদ্রা ‘ইউরো’ চালু করার প্রক্রিয়া – প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

হেলমুট কোল-এর জন্ম ১৯৩০ সালের ৩ এপ্রিল।জার্মানির লুডভিগ্সহাফেনে একটি রোমান ক্যাথলিক পরিবারে তার জন্ম হয়। বাবা হান্স কোল আর মা সেসিলি-র তৃতীয় সন্তান ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তার বড়ভাই যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যুবরণ করলেও কোল-কে কোনও যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে হয়নি।

প্রথমে রুপরেশট এলিমেন্টারি স্কুল, তারপর মাক্স-প্লাঙ্ক-গিমনাসিয়ুমে স্কুলে পড়াশোনা করেন তিনি। পরে হেসে রাজ্যের ফ্রাংকফুর্ট শহরে আইন নিয়ে এবং হাইডেলব্যার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেন হেলমুট। ১৯৪৬ সালে নবগঠিত খ্রিস্ট্রীয় গণতন্ত্রী ইউনিয়নে যোগ দেন তিনি। এক সময় তিনি এই দলের প্রধান হন। সভাপতিত্ব করেন দীর্ঘ ২৫ বছর। জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে একটানা ১৬ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। সূত্র: ডয়চে ভেলে।

/এএ/