জার্মানির সাধারণ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে

জার্মানির ১৯তম জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। জার্মানির স্থানীয় রবিবার সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা)। এবার ভোটার সংখ্যা ৬ কোটি ১৫ লাখ। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভোটগণনা শুরু হবে এবং খুব দ্রুতই প্রাথমিক ফল ঘোষণা শুরু হবে।

জার্মানির সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। ছবি: ডয়চে ভেলে

এবারের নির্বাচনে মোট ৬৫টি দল অংশ নিচ্ছে। জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ও ক্ষমতাসীন খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রী বা সিডিইউ দলের নেতা আঙ্গেলা ম্যার্কেল এবারও চতুর্থবারের মতো দলের চ্যান্সেলর প্রার্থী হয়েছেন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সামাজিক গণতন্ত্রী দল বা এসপিডি'র নেতা ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সাবেক সভাপতি মার্টিন শুলৎস। তবে এর বাইরে রয়েছে পরিবেশবাদী গ্রিন পার্টি,  ফ্রিডম ডেমোক্র্যাট পার্টি (এফডিপি), বাম দল এবং কট্টর ডানপন্থি দল এএফডি।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন রবিবারে নির্বাচন আয়োজন জার্মানির ঐতিহ্য।  জার্মানির নির্বাচন আইন অনুযায়ী, নির্বাচন ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব হলো জার্মানির নির্বাচন প্রশাসনের। নির্বাচনি প্রশাসন ইতোমধ্যেই ভোটারদের বাড়িতে ছয় সপ্তাহ আগে নির্বাচনি এলাকার নাম, ভোটকেন্দ্রের ঠিকানা ও ভোট দেওয়ার সময়সহ কার্ড পাঠিয়ে দিয়েছে। ভোটাররা তাদের কাছে পাঠানো নির্বাচনি কার্ড ও পরিচয়পত্র নির্বাচনি স্বেচ্ছাসেবীদের দেখিয়ে ভোট দিতে পারবেন।

ভোটাররা প্রত্যেকে দুটি করে ভোট দিতে পারবেন। একটি ভোট স্থানীয় প্রার্থীকে অপরটি দলকে। কোনও দল মোট ভোটের ৫ শতাংশ ভোট না পেলে সেই দলের সংসদে যাওয়ার সুযোগ নেই। জার্মান পার্লামেন্টে ৫৯৮ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে সরাসরি নির্বাচন হবে, আর বাকি ২৯৯টি আসনে দলীয় ভোটপ্রাপ্তির শতাংশের হিসাব অনুযায়ী বিভিন্ন দলের তৈরি করা প্রার্থী তালিকা থেকে সংসদ সদস্য হবেন।

সর্বশেষ জনমত জরিপের ফল অনুসারে, টানা চতুর্থবারের মতো চ্যান্সেলর হতে যাচ্ছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল। ক্ষমতাসীন জোট সরকারের বড় শরিক দল সিডিইউ পেতে পারে ৩৬ শতাংশ ভোট, এসপিডি ২২ শতাংশ আর চার বছর আগে গঠিত কট্টর ডানপন্থি দল এএফডি পেতে পারে ১০ শতাংশ ভোট। ইসলাম, শরণার্থী ও অভিবাসীবিরোধী অল্টারনেটিভ ফর ডয়েচলান্ড (এএফডি) নামের দলটি এবারের পার্লামেন্টে ভোট প্রাপ্তির শতাংশ হিসাবে ৭০ আসন পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জার্মানির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে’র মতে, এবারের জাতীয় নির্বাচনটি জার্মানির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এখন পর্যন্ত প্রাদেশিক নির্বাচনের ফল এবং নির্বাচনি জরিপ অনুসারেধারণা করা হচ্ছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এবারই হয়তো প্রথম নির্বাচিত দলকে ছয়টি দল নিয়ে পার্লামেন্ট গঠন করতে হতে পারে। এমনটি ঘটলে বর্তমান জোট সরকারের কাঠামো ব্যাপকভাবে পাল্টে যাবে। সূত্র: ডয়চে ভেলে।