জার্মান নির্বাচন: বুথ ফেরত জরিপে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই

জার্মানির নির্বাচনে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের রক্ষণশীল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ/সিএসইউ) ও প্রতিদ্বন্দ্বী সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট পার্টি (এসপিডি) সমান সংখ্যক জনসমর্থন পেতে যাচ্ছে। রবিবার দেশটির জাতীয় নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষে প্রকাশিত এক বুথ ফেরত জরিপে এমন আভাস পাওয়া গেছে।

সম্প্রচারমাধ্যম এআরডি প্রকাশিত বুথ ফেরত জরিপ অনুসারে, সিডিইউ/সিএসইউ ২৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট (এসপিডি)ও পাচ্ছে ২৫ শতাংশ ভোট। এর ফলে এই দুই দলের যে কোনও একটি সরকার গঠন করতে পারে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এখন অনানুষ্ঠানিক আলোচনা প্রাধান্য পাবে। গ্রিন ও লিবারেল ফ্রি ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে জোট সরকার গঠনের আলোচনা শুরু হতে পারে। এজন্য সময় লাগতে পারে কয়েক মাস।

জরিপ অনুসারে, এছাড়া গ্রিন পার্টি পেয়েছে ১৫ শতাংশ ভোট। ব্যবসাবান্ধব দল এফডিপি ও অভিবাসনবিরোধী দল এএফডি ১১ শতাংশ করে ভোট পেয়েছে।

আরেক সম্প্রচারমাধ্যম জেডিএফ-এর বুথ ফেরত জরিপে একেবারে অল্প ব্যবধানে এগিয়ে আছে ম্যার্কেলের দল।

এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ১৬ বছর দায়িত্ব পালন আঙ্গেলা ম্যার্কেল চ্যান্সেলর পদ হতে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। তবে জোট সরকার গঠন নিয়ে আলোচনার সময়টুকু তিনি হয়ত তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন।

নতুন চ্যান্সেলর পেতে স্থানীয় সময় রবিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টায়। ১৬টি অঙ্গরাজ্যে একযোগে চলে ভোটগ্রহণ। ভোটাররা দু'টি করে ভোট দিয়েছেন। একটি ভোট সরাসরি প্রার্থী নির্বাচনের, অপরটি পছন্দের দলকে। দ্বিতীয় তালিকায় দলীয় সমর্থনের অনুপাতের ভিত্তিতে সংসদে অর্ধেক আসনে প্রার্থী স্থির করা হয়। তবে কে চ্যান্সেলর হতে যাচ্ছেন তা আজই নির্ধারিত হবে না। পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা চ্যান্সেলর নির্বাচিত করবেন।

ম্যার্কেলের সিডিইউ থেকে লড়ছেন দলটির বর্তমান চেয়ারম্যান আরমিন লাশেট। সোশ্যাল ডেমোক্র্যটিক পার্টি (এসপিডি) থেকে চ্যান্সেলর পদে লড়ছেন জার্মানির ভাইস চ্যান্সেলর ও অর্থমন্ত্রী ওলাফ শলৎস। 

ভোটাররা দু'টি করে ভোট দিয়েছেন। একটি ভোট সরাসরি প্রার্থী নির্বাচনের, অপরটি পছন্দের দলকে। দ্বিতীয় তালিকায় দলীয় সমর্থনের অনুপাতের ভিত্তিতে সংসদে অর্ধেক আসনে প্রার্থী স্থির করা হয়। তবে কে চ্যান্সেলর হতে যাচ্ছেন তা আজই নির্ধারিত হবে না। পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা চ্যান্সেলর নির্বাচিত করবেন।