কাশ্মিরে উরি হামলার ‘দায়’ স্বীকার লস্কর-ই-তৈয়বার

nonameভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের একটি সেনা ঘাঁটিতে গত মাসে হামলার ‘দায়’ স্বীকার করেছে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা। পাকিস্তানে যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত একটি পোস্টারের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

খবরে বলা হয়েছে, উরিতে হামলার ঘটনায় নিহত এক হামলাকারীর গায়েবানা জানাজা আয়োজন করেছে লস্কর-ই-তৈয়বার মূল সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া। এ বিষয় নিয়ে একটি পোস্টার পাকিস্তানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। পাঞ্জাবের গুজরানওয়ালাতে এ জানাজাঅনুষ্ঠিত হবে এবং এতে জামাত-উদ-দাওয়ার প্রধান হাফিজ সাইদ জানাজা শেষে ‘বিশেষ বক্তব্য’ দেবেন।

পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে, লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য মুহাম্মদ আনাস ওরফে আবু-সারাকা কাশ্মিরের উরিতে সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে ‘শহিদ’ হয়েছেন। উর্দুতে লেখা এ পোস্টারে দাবি করা হয়েছে, লস্কর-ই-তৈয়বা এ পর্যন্ত ১৭৭ জন ভারতীয় সেনাকে হত্যা করেছে।

পাকিস্তান সরকার ভারতে জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানি কোনও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করায় লস্কর-ই-তৈয়বার এ দাবিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। পাকিস্তানের ফ্রন্টিয়ার পোস্টের স্টাফ রিপোর্টার মুহাম্মদ আমির হোসেন টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, জামাত-উদ-দাওয়ার এ জানাজা আয়োজন ও এ ধরনের পোস্টার প্রকাশের পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পাকিস্তানের দাবির কোনও সত্যতা থাকবে না।

অবশ্য জামাত-উদ-দাওয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ধরনের পোস্টা ধাপ্পাবাজি ছাড়া কিছুই না। এই তথ্য জানিয়েছেন পাকিস্তানে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিনিধি আসাদ হাশমি। আর ডন-এর সাবেক সম্পদাক আব্বাস নাসির এক টুইটে জানাজাটি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ১৮ সেপ্টেম্বর (রবিবার) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ভারি অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত একদল লোক কাশ্মিরের উরিতে লাইন অব কন্ট্রোলের কাছে সামরিক বাহিনীর একটি প্রশাসনিক স্থাপনায় হামলায় চালায়। ওই হামলায় ১৭ সেনা সদস্য ও ৪ হামলাকারী নিহত হন।  এখন পর্যন্ত কোনও সংগঠনের পক্ষ থেকে ওই হামলার দায় স্বীকার করা হয়নি। তবে হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মোহাম্মদকেই সন্দেহ করছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে চলতি বছরের প্রথমদিকে পাঞ্জাবের পাঠানপকোটে ভারতের বিমানঘাঁটিতে হামলার জন্যও ওই সশস্ত্র সংগঠনটিকে দায়ী করেছিল ভারত। জঙ্গি এ সংগঠন পাকিস্তানের সৃষ্টি এবং পাকিস্তানে থেকেই কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে বলে ভারত দাবি করে আসছে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

/এএ/