কাশ্মিরের নির্বাচনি রাজনীতি ছাড়লেন শেহলা রশিদ, থাকবেন অ্যাক্টিভিস্ট

দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রী শেহলা রশিদ কাশ্মিরের মূলধারার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ছয় মাসের মাথায় তা ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, নির্বাচনি রাজনীতি করবেন না। কাশ্মিরের ব্লক ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল নির্বাচনের পূর্বে এই ঘোষণা দিলেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এখবর জানিয়েছে।

শেহলা রশিদ

২০১৬ সালে নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতকির্ত রাষ্ট্রদ্রোহী স্লোগানকে নিয়ে শুরু হওয়া আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে ভারতজুড়ে পরিচিতি পান শেহলা রশিদ। এই বছরের শুরুতে তিনি জম্মু-কাশ্মিরের পিপল’স মুভমেন্টে যোগ দেন। এই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক আইএএস কর্মকর্তা শাহ ফয়সাল। সম্প্রতি কাশ্মিরিদের ওপর নৃশংসতা চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, এমন অভিযোগ এনে ১৮ আগস্ট একাধিক টুইট করেন তিনি। তবে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলে শেহলার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়।

জওহরলাল নেহেরু ছাত্র সংসদের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট শেহলা রশিদ এক বিবৃতিতে জানান, এই মাসের শেষের দিকে জম্মু ও কাশ্মিরে ব্লক ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের নির্বাচন আয়োজন করছে কেন্দ্র সরকার। তিনি এই নির্বাচনের অংশ হতে চান না। এই নির্বাচনকে তিনি লজ্জাজনক ভোটের আয়োজন বলে আখ্যায়িত করেছেন।

শেহলা রশিদ বলেন, আমার জনগণের ওপর পরিচালিত নির্মম নিপীড়নকে বৈধতা দেওয়ার অনুশীলনের অংশ আমি হতে পারি না। তাই আমি কাশ্মিরের মূলধারার নির্বাচনি রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করছি।

সাবেক এই ছাত্রনেতা আরও বলেন, আমি অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে কাজ করে যাব এবং সবক্ষেত্রেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকব যেখানে সমঝোতার প্রয়োজন হয় না। রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা বাতিল ও দ্বিখণ্ডিত করার ইস্যুতে আমি সুপ্রিম কোর্টের পিটিশনের পেছনে সর্বোচ্চ শক্তি কাজে লাগাব।

বিবৃতিতে শেহলা আরও বলেছেন, এটা স্পষ্ট যে, কাশ্মিরে যে কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে হলে সমঝোতা প্রয়োজন হয়।